জীবন পেলেন মৃতপ্রায় রোগী। ছবি: সংগৃহীত।
দু’বার কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট হয়েছিল। বাঁচার কোনও রকম আশা ছিল না। যে কোনও সময়ে বিপদ আসতে পারে তাই পরিবারকেও তৈরি থাকতে বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা আশঙ্কায় জল ঢেলে এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুন জীবন পেলেন বেন উইলসন।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ বছর বয়সি ওই তরুণের দু’বার কার্ডিয়্যাক অ্যারেস্ট হয়। ওষুধ, ইনঞ্জেকশন-সহ যাবতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগী সাড়া না দেওয়ায় শেষে ‘ডিফাইব্রিলেটর’ যন্ত্রের শরণ নেন চিকিৎসকেরা। এক বার, দু’বার নয়, টানা ১৭ বার চিকিৎসকেরা তাঁর বুকে ‘ডিফাইব্রিলেটর’ দিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া হৃদ্যন্ত্র চালু করার চেষ্টা করেন তাঁরা। সফলও হন। টানা পাঁচ সপ্তাহ কোমাচ্ছন্ন থাকার পর আবার চোখ মেলে তাকানোর শক্তি ফিরে পান বেন। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সর্ব ক্ষণ বেনের পাশে ছিলেন প্রেমিকা রেবেকা হোম্স। তিনি জানিয়েছেন, বেন আপাতত সুস্থ। তবে কথা বলতে এবং ছোটখাটো কিছু বিষয়ে মনে করতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, “কোমায় থাকাকালীন আমি সারা ক্ষণ ওর পাশে থাকতাম। মাঝেমধ্যে আমি আমাদের পছন্দের গানও শোনাতাম। আমি যে সুগন্ধি ব্যবহার করি, সেটি বেনের বালিশে ছড়িয়ে রাখতাম। আমার জন্য বেনের ফিরে আসা অলৌকিক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে বিজ্ঞান নিশ্চয়ই অন্য কথা বলে।”