কম খরচেই চুল সোজা হবে। ছবি: সংগৃহীত।
জন্ম থেকেই কোঁকড়ানো চুল। দেখতে ভাল লাগলেও কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া বেশ ঝক্কির। খোলা রাখলে অল্পতেই জট পড়ে যায়। বিশেষ কায়দাও করা যায় না। আবার দৈর্ঘ্যে বাড়লেও তা বোঝা যায় না। ঝোপের মতো বাড়তে থাকা চুল নিয়ে অনেকেই বিরক্ত বোধ করেন। তাই সালোঁয় গিয়ে কেরাটিন, স্মুদনিং, স্ট্রেটনিং করিয়ে আসেন। এতে সাময়িক ভাবে চুল দেখতে ভাল লাগলেও এগুলি করতে যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। তবে সালোঁয় না গিয়ে ঘরে বসেও কিন্তু চুল সোজা করা যায়। তার জন্য কী করতে হবে? চুলের ধরন বুঝে নীচে দেওয়া যে কোনও তিনটি প্যাকের মধ্যে একটি মেখে ফেললেই কাজ হবে।
১) পাকা কলা ও টক দই:
টক দই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে আর পাকা কলা চুল নরম করে। মিক্সিতে পাকা কলা এবং দু’চামচ টক দই ঘুরিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করুন। চুল মসৃণ ও সোজা হবে।
২) ডিম ও অলিভ অয়েল:
ডিম এবং অলিভ অয়েল, দুই-ই চুলের পুষ্টি জোগায়। দু’টি ডিমের কুসুম ও অলিভ অয়েল ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে নিন। যাঁদের চুল খুব রুক্ষ চুল, তাঁরা মসৃণ ও কোমল করতে এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন।
চুলের যত্ন নিতে মধু ও অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
৩) মধু ও অ্যালো ভেরা:
চুলের যত্ন নিতে মধু ও অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালো ভেরার জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল কোমল ও মসৃণ করতে এক দিন অন্তর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।