পিঠের ব্যথা দূর হবে কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে বসে কাজ করে কোমরে ব্যথায় এখন অল্পবয়সিরাও ভুগছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন কেউ কেউ। চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়সজনিত কারণ ছাড়াও এমন নানা কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। সারা ক্ষণ মোবাইলে মুখ গুঁজে বসে থাকা, ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ, মেরুদণ্ডের সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে ৩০-এর আগেই কোমর, পিঠের ব্যথা নিয়ে ঘুরছেন মানুষজন। তবে ব্যথার ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ছাড়াও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। জেনে নিন কী ভাবে যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে।
শরীরচর্চা: কোমরের যন্ত্রণা শুরু হলে সেই সময়ে নড়াচড়া করাই মুশকিল হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, একটু কষ্ট করে যদি সাধারণ কয়েকটি যোগাসন এবং স্ট্রেচ করা যায়, তবে আরাম মিলবে। ব্যথা কমলে সাঁতার বা অ্যারোবিক্সও করা যেতে পারে। তবে এক দিনেই ফল মিলবে, এমনটা আশা করা যায় না। নিয়মিত করলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে।
ধূমপান: মেরুদণ্ডে কোনও রকম সমস্যা হলে তা থেকে রেহাই পেতে ধূমপায়ীদের অনেকটা সময় লেগে যায়। যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁরা মেরুদণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠেন।
ঘুম কম হলে কোমরের ব্যথা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ জড়িয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম কম হলে কোমরের ব্যথা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। শরীরের বিভিন্ন পেশি, স্নায়ু সারা দিন কাজ করার পর এই সময়েই শিথিল হয়ে পড়ে। পরের দিনের জন্য রসদ সংগ্রহ করে ঘুমের মধ্যেই। তাই সুস্থ থাকতে গেলে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি।
দেহের ভঙ্গি বদল: সারা দিন হাড়ভাঙা খাটনির পর বিছানায় পিঠ দেওয়া মাত্রই কী ভাবে শুয়ে আছেন, সে খেয়াল থাকে না অনেকের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোয়ার ভুলেও অনেক সময়ে কোমরের উপর চাপ পড়ে। তাই সঠিক ভাবে শোয়ার অভ্যাস করতে হবে। একই ভাবে টেবিল-চেয়ারে বসার সময়েও মেরুদণ্ড সোজা করে বসার চেষ্টা করতে হবে।
ওজন কমানো: চেহারা ভারী হলে কোমরে-পিঠের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে তাই ওজন বাগে রাখা ভীষণ জরুরি। তাই খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা এবং একসঙ্গেই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে।