মাশরুম খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের জোগান দিতে ঘুগনি, পনির কিংবা সয়াবিন খান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের আরও একটি বিকল্প হতে পারে মাশরুম। চিনা রেস্তরাঁতে বটেই, এখন বাঙালি হেঁশেলেও এই খাবারের দেখা মেলে। শরীরচর্চা করেন অথচ ডিম, মাংস খান না এমন মানুষের সংখ্যাও তো কম নয়। তাঁদের কাছেও মাশরুমের কদর রয়েছে। শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য যতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন তার জোগান দিতে পারে মাশরুম। ক্যালোরি নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ থাকে না।
তবে খুব পরিচ্ছন্ন জায়গায় মাশরুম জন্মায় না। তাই রান্না করার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকতেই হয়। না হলে এই খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। রাঁধার আগে ভাল করে ধুয়ে নিতে হয় মাশরুম। প্রথমে ধুতে হয় ঠান্ডা জলে। তার পর ধুতে হয় গরম জলে। ধোয়ার পরেও ছোট ছোট করে কেটে দেখে নিতে হবে মাশরুমে আর ময়লা আছে কি না। রান্নার আগে মাশরুম ধোঁয়া ওঠা আঁচে অন্তত মিনিট দশেক ভাপিয়ে নিতে হবে। তার পরে করতে হবে রান্না।
মাশরুম খেলে কী কী উপকার হবে?
১) মাশরুমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। বিশেষ করে মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
২) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে বিটা গ্লুকান। কমায় টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়।
৩) মাশরুমে থাকে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ‘ফ্রি র্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ হৃদ্রোগ এবং ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৪) মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করে, নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।
৫) ওজন নিয়ে চিন্তিত? কী খেলে শরীরে বেশি ক্যালোরি যাবে না, তাই ভাবছেন? ডায়েটে মাশরুম থাকতেই পারে। কারণ, এই খাবারে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। উল্টে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।