ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি সকলের জন্যই খারাপ। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মিষ্টিজাত খাবার কম খাচ্ছেন, কিন্তু এখনও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি। বাড়িতে চিনি ছাড়া চা, কফি খেলেও বাড়ির বাইরে তো মাঝেমধ্যে চিনি সমেত খাওয়া হয়েই যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই এই বিষয়ে সহমত। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রে চিনি অনুঘটকের মতো কাজ করে।
তাই বলে জীবন থেকে কি চিনি একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়াটা খুব কাজের কথা? পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম চিনির উপর নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলার জন্য কিছু অযৌক্তিক কথা প্রচারিত হলেও, আদৌ তার বিজ্ঞানসম্মত কোনও ব্যাখ্যা নেই। তবে, নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। সারা দিনে কার কতটুকু চিনি খাওয়া প্রয়োজন, তা নির্ভর করে তার জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিস্থিতির উপর।
চিনি খেলে কি ডায়াবিটিস বা ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে?
চিনির সঙ্গে ক্যানসার বা ডায়াবিটিসের প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও অধিকাংশ চিকিৎসকই মনে করেন প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে স্থূলত্বের যোগ রয়েছে। এই স্থূলত্ব বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে অবশ্যই ডায়াবিটিসের যোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সারা দিনে কতটা চিনি খাওয়া উচিত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, এক জন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রতি দিন যে পরিমাণ ক্যালোরি পৌঁছনোর কথা, চিনি থেকে তার ১০ শতাংশ পেলেই হবে। তার কম হলেও ক্ষতি নেই, তবে তার বেশি যেন না হয়।