Folic Acid

শিশুর মেরুদণ্ডে জন্মগত ত্রুটি রুখতে মায়েদের ফলিক সাপ্লিমেন্ট দরকার, বলছেন জি২০ চিকিৎসকরা

বিশ্বজুড়ে স্নায়ুরোগ এক বিশাল ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে। যার সূত্রপাত হয় মায়ের গর্ভেই। মেরুদণ্ডের গঠনগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সন্তানধারণের আগে থেকেই খেতে হবে কোন যৌগটি?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ২১:১০
Share:

মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটি। ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে নিউরোসায়েন্স২০ সামিট। জি২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির স্নায়ুরোগ চিকিৎসকরা সেখানে সদ্যোজাত এবং হবু মায়েদের মেরুদণ্ডের রোগ ‘স্পাইনা বিফিয়া’ প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করেন। সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আটকাতে, বিশ্বজুড়ে ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে স্নায়ুরোগ যে ক্রনিক এবং প্রাণঘাতী হতে চলেছে, সেই পূর্বাভাস প্রায় এক যুগ আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। অন্যান্য স্নায়ুরোগের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের একটি বিশেষ রোগ ‘স্পাইনা বিফিডা’-র প্রতিকার এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ-সহ ভারতে এই রোগের চিকিৎসার খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাত করা হয় এ বারের নিউরোসায়েন্স২০ সামিটে।

‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারি’-র সভাপতি চিকিৎসক সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমেরিকা, ইংল্যান্ড-সহ ৮টি দেশে ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারকে আবশ্যিক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া-সহ ১২টি দেশে এই নিয়ম জরুরি ভিত্তিতে শুরু করার আবেদন জানানো হয়েছে।” সেখানে বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিডের ব্যবহার মা এবং সদ্যোজাত দু’জনেরই মেরুদণ্ডের এই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, এক হাজার জন সদ্যোজাতের মধ্যে খুব বেশি হলে ৬ থেকে ১০ জনের মধ্যে জন্মের সময়ই মেরুদণ্ডের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন ভ্রূণের মেরুদণ্ডের গঠনগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণই স্পাইনা বিফিডা নামে পরিচিত। এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় একাধিক অস্ত্রোপচার এবং দীর্ঘ চিকিৎসা।

মেরুদণ্ডে ত্রুটি নিয়ে জন্মাগ্রহণ করার ফলে কোনও কোনও শিশুকে জন্মের পরই অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়। চিকিৎসক আরও বলেন, “এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল হওয়া সম্ভব, যদি সন্তানধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড যৌগটি খাওয়া শুরু করা যায়।”

যদিও ফোলিক অ্যাসিড নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ মনে করেন গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার কারণ ফলিক অ্যাসিড। আবার কেউ মনে করেন বেশি ফলিক অ্যাসিড খেলে ভবিষ্যতে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এই বক্তব্য পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement