খাবার তালিকা থেকে পুরোপুরি কিছু বাদ না দিয়ে, স্বল্প পরিমাণে সব কিছু খাওয়াই ভাল। ছবি : সংগৃহীত
ডায়েট করলে সুষম আহার প্রয়োজন, এ কথা পুষ্টিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ, সকলের মুখে মুখে ঘোরে। কিন্তু সুষম খাবারের সংজ্ঞাটা এক-এক জনের কাছে, এক-এক রকম। কেউ বলেন, চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। আবার কেউ বলেন, প্রোটিন বেশি খাওয়া ভাল। আবার অনেকে মনে করেন, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, কার্ব, ‘গুড ফ্যাট’ সমৃদ্ধ খাবারই ‘সুষম খাবার’। অতএব খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি কিছু বাদ না দিয়ে, স্বল্প পরিমাণে সব কিছু খাওয়াই ভাল।
ডায়েট নিয়ে এ রকম বহু প্রচলিত কথা আছে, যেগুলি আসলে ভিত্তিহীন।
১) ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়
যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁরা তো বটেই, যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, তাঁরাও মিষ্টিজাতীয় জিনিস খেতে চান না। মিষ্টি মানে চিনি হতে পারে। আবার মধুও কিন্তু মিষ্টি। কিছু কিছু ফলেও শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই বলে ফল খাওয়া কি খারাপ? ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। কিন্তু ফল খেলে কখনওই ওজন বাড়ে না। বরং ফলে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি ‘ফ্রুক্টোস’ খাওয়া শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।
২) কার্বহাইড্রেট খেলে মেদ বাড়ে
অনেকের ধারণা ভাত-রুটি খেলে মেদ বাড়ে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। তবে পাউরুটি, কেক, পেস্ট্রি খাওয়া অবশ্যই ক্ষতিকর। আবার খেয়াল রাখতে হবে, প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীরের ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৩) প্রাতরাশ না খেলে মেদ বাড়ে
ঘুম থেকে ওঠার পর ভারী খাবার না খেলে ওজন বাড়ে। এই ধারণারও সঠিক কোনও যুক্তি নেই। কারণ, যাঁরা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন, তাঁদের সকালের খাবার না খেতে বলা হয়। ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা তাঁরা কোনও শক্ত খাবার খেতে পারেন না।
৪) চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দিন শরীরে সব যৌগের পুষ্টিগুণ পৌঁছে দিতে হলে, অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি অল্প পরিমাণে স্নেহপদার্থও খেতে হবে। বাজারে ‘লো ফ্যাট’ নামে আলাদা করে যে সব খাবার জিনিস বিক্রি হয়, সে সব না খাওয়াই ভাল। সেখান থেকে কোনও পুষ্টিগুণই শরীর পাবে।