ছবি: প্রতীকী
শুধু শরীরচর্চা করেই ওজন ঝরিয়ে ফেলেন অনেকে। আবার অনেকেরই বিপাকহার খুব একটা উন্নত নয়। তাই শরীরচর্চা করে তেমন ফল মেলে না। সঙ্গে যথাযথ ডায়েটেরও প্রয়োজন হয়। আবার স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই একসঙ্গে শরীরচর্চা এবং ডায়েট, দুই-ই করেন। পুষ্টিবিদদের মতে, জীবনধারায় পরিবর্তন আনার পরেও যখন ওজনে কোনও হেরফের নজরে আসে না, তখন খুঁজে দেখা প্রয়োজন শারীরিক কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। চিকিৎসকেরা বলছেন, জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন কিছু রোগ রয়েছে, যা একেবারেই মেদ ঝরানোর পরিপন্থী। তাই শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে প্রচলিত যে সব পন্থা, তা সকলের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে। তাই ওজন ঝরাতে শুরু করার আগেই কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
১) হাইপোথাইরয়েডিজ়ম
রক্তে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বিপাকহারে তার প্রভাব প়়ড়ে। ফলে মেদ ঝরাতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। শরীরচর্চা করেও তেমন ফল মেলে না।
২) স্ট্রেস
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তা হলে কিন্তু ওজন ঝরানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদ থেকে কর্টিজ়ল হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে এই হরমোনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৩) অপর্যাপ্ত ঘুম
মেদ ঝরাতে সবই করেন, কিন্তু ঘুমের দিকে নজর দেন না। সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, রাত জেগে ওটিটি দেখেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার জন্য যত পরিশ্রম করছেন, তা সবই জলে যাচ্ছে। কারণ, রাত জেগে থাকার ফলে উল্টো পাল্টা খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। সকালে ঘুম ভাঙছে না। ফলে শরীরচর্চা করার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছে।
৪) ইনসুলিনের ভারসাম্য
খাবার খাওয়ার পর তা গ্লুকোজ়ে পরিণত হয়। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন সেই গ্লুকোজ়কে শরীরে বিভিন্ন কোষে সঞ্চারিত করে। কিন্তু এই নিয়মে বিঘ্ন ঘটে যখন ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন রক্তে থাকা অতিরিক্ত শর্করা, শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
৫) পিসিওএস
মহিলাদের ক্ষেত্রে ওজন না কমার আরও বড় একটি কারণ হল পিসিওএস। এ ক্ষেত্রেও দায়ী সেই হরমোন। প্রজননে সহায়ক এই হরমোনগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে পিসিওএস-এর সমস্যা দেখা যায়। যা সরাসরি বিপাকহারকে প্রভাবিত করে।