ছবি: প্রতীকী
এই গরমেও নিয়মিত ৫ কিলোমিটার পথ দৌড়ে আসেন বছর চল্লিশের সুমন্ত। তাঁর কথা উঠলেই গঞ্জনা শুনতে হয়। সুমন্তর ফিটনেস দেখে নিজেরও যে ঈর্ষা হয় না, তা নয়। কিন্তু এই বয়সে হঠাৎ দৌড়তে গিয়ে যদি হাত-পা ভাঙে। সেই ভয়ে আর এগোতে পারছেন না। লোকমুখে শুনেছেন, শুরুতেই দৌড়নো সকলের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। অনভ্যাস থেকে দৌড়তে গিয়ে হাঁটু, কোমরে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শুরুতেই পেশাদার দৌড়বাজদের মতো গতি বা ভঙ্গি সকলেই রপ্ত করতে পারবেন, এমনটা কিন্তু নয়। সবচেয়ে বড় কথা, অভ্যাস না থাকলে যে কোনও বয়সের মানুষ চাইলেই যে দৌড়তে পারবেন তা-ও নয়। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে নিয়মিত অভ্যাস এবং ধৈর্য রেখে তবেই দৌড় রপ্ত করা সম্ভব। যে কোনও বয়সে দৌড় শুরু করা যায়। তবে তা করতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) একেবারে শুরুতে ১ মিনিট দ্রুত গতিতে হেঁটে নিন। নিজের সুবিধা অনুযায়ী, মাঝারি গতিতে মিনিট পাঁচেক দৌড়নোর চেষ্টা করুন।
২) প্রথম দিকে মিনিট পাঁচেক দৌড়েই হাঁপিয়ে পড়বেন। তাই কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রাম নিন। হৃদ্স্পন্দন স্বাভাবিক হয়ে এলে এ বার প্রতি দিন একটু একটু করে মোট সময় ১ মিনিট করে বাড়াতে চেষ্টা করুন।
৩) শুরুতেই রোজ দৌড়তে ইচ্ছে না করলে জোর করবেন না। তবে যে দিনগুলে দৌড়তে ইচ্ছে করবে না, সে দিন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করুন। শরীরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা অস্থিসন্ধিগুলি নমনীয় করতে চেষ্টা করুন।
৪) নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিন। অভিজ্ঞেরা বলছেন, ৫ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ৫ হাজার কিলোমিটার হাঁটার পরিকল্পনা করে ফেলুন।
৫) শুরুতেই কত দ্রুত গতিতে দৌড়তে পারছেন, সে দিকে মন দেবেন না। বরং কতটা পথ অতিক্রম করতে পারছেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। দৌড়নোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোনও কষ্ট হচ্ছে কি না, অস্বাভাবিকতা রয়েছে কি না, সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।