সকালে ঘুম থেকে উঠতেই হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
রোগা হতে অনেকেই কম পরিশ্রম করেন না। জিমে যাওয়া, খাওয়াদাওয়া কম করা, ঘাম ঝরানো— পাতলা চেহারা পেতে চেষ্টার খামতি রাখেন না অনেকেই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শরীরের ঊর্ধ্বাংশের প্রতি আলাদা করে নজর দিতে গিয়ে ব্রাত্য হয়ে পড়ে পা দু’টি। সুস্থ-সবল থাকতে পায়েরও আলাদা করে যত্নের প্রয়োজন। দীর্ঘ দিনের অবহেলায় পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। সেটা কাম্য নয়। শরীরচর্চার সময়ে অনেকেই ওজন তোলেন। কঠিন ব্যায়াম করেন। এগুলিতে থেকে সুফল পেতে হলে পায়ের পেশি হওয়া চাই মজবুত এবং শক্তিশালী।
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই হঠাৎ হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিছানা থেকে নামার সময়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হতে হন অনেকেই। শীতে এ ধরনের ভোগান্তি যেন বেশি করে দেখা যায়। পায়ের পেশি উপযুক্ত যত্নের অভাবে এমনটা হয় বলে মনে করেন। ওজন কমানোর যেমন কিছু ব্যায়াম রয়েছে, তেমনই পায়ের পেশির গঠন ঠিক রাখতেও রোজ কিছু ব্যায়াম করার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
কোন ব্যায়াম করলে সুস্থ থাকবে পায়ের বেশি?
লেগ প্রেস
বয়স বাড়লে পেশির ক্ষয় স্বাভাবিক। তবে কম বয়সেও অনেকেই এমন সমস্যায় থাকেন। বয়স কম কিংবা বেশি— সুস্থ থাকতে লেগ প্রেসের মতো ব্যায়ামের জুড়ি নেই। আধশোয়া হয়ে পা দিয়ে ওজন ঠেলে তোলা ও নামানোর এই ব্যায়ামর পায়ের পেশি শক্ত করে।
লেগ এক্সটেনশন এবং হ্যামস্ট্রিং কার্ল
মেশিনের সাহায্যে এই দু’টি বিপরীতমুখী কসরত করা হয়ে থাকে। কোথাও বসে হাঁটুর নীচের অংশে ওয়েটেড প্যাড বসিয়ে তা তুলে বা নামিয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত পেশি শক্তিশালী করতে এই ব্যায়াম কার্যকর।
লেগ এক্সটেনশন এবং হ্যামস্ট্রিং কার্ল মেশিনের সাহায্যে দু’টি বিপরীতমুখী কসরত করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
ফ্রন্ট ফুট এলিভেটেড স্কোয়াট
আপনার যে পায়ের পেশি বেশি সচল, সে পা একটি ইটের সমান উঁচু স্থানে রাখুন। বুক ও পিঠ সোজা রেখে ধীরে ধীরে অপর পায়ের হাঁটুতে ভর দিয়ে বসুন। দুই হাতে রাখুন ডাম্বল। পা বদল করে করে দশ বার করুন। অনেকটা উপকার পাবেন।