ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য। ছবি- প্রতীকী
অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, যাঁরা নিয়মিত মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই গাঁটের ব্যথা অনিবার্য।
মূলত হাড় ও কিডনির উপরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশি প্রভাব ফেলে। খাওয়াদাওয়ায় একটু হ্রাস টানলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব। ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কয়েকটি খাবার। সেগুলি কী কী?
১) সবেদা অনেকেরই প্রিয় ফল। তবে শরীরে যদি বাসা বেঁধে থাকে ইউরিক অ্যাসিড, তা হলে এই ফল বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ সবেদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় ফ্রুকটোজের পরিমাণ ৮.৬ গ্রাম। ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দিতে পারে।
২) স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। ইউরিক অ্যাসিডে সুস্থ থাকতে রেড মিট, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার পাতে রাখবেন না।
৩) মদ্যপান করেন? ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এখনই ত্যাগ করুন মদ্যপানের অভ্যাস। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
সবেদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ। ছবি- সংগৃহীত
৪) প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমান। সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংসের বদলে পাতে বেশি করে রাখুন ফল, সবুজ শাকসব্জি। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
৫) অনেকেই হয়তো জানেন না, তেঁতুল বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুকটোজের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।