ঘি খেয়েই ওজন কমান। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরিয়ে রোগা হওয়ার জন্য চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। ডিটক্স পানীয় খাওয়া থেকে শুরু করে শরীরচর্চা, বাইরের খাবার না খাওয়া— বাদ রাখেন না কিছুই। তবে এত কিছু করেও যে খুব লাভ হচ্ছে, এমন নয়!
ওজন বশে রাখতে পছন্দের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। তাই বলে ফ্যাট খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়ারও দরকার নেই। মাখন না খেলেও ঘি কিন্তু খেতে পারেন। ঘিয়ের মধ্যে যে ধরনের ফ্যাট রয়েছে, তা হার্টের জন্য ভাল। তা ছাড়াও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে ঘিয়ে। তবে যে ভাবে সাধারণত ঘি খাওয়া হয়, সেই ভাবে খেলে কিন্তু ওজন ঝরবে না। আয়ুর্বেদ বলছে, সকালে, খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য ঘি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে শুধু মেদ কমানো নয়, শরীরের অনেক উপকার হয়।
১. কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, হজমের সমস্যা দূর করতে পারে ঘি। অন্ত্র ভাল রাখতে ঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিতর থেকে অন্ত্রকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
২. শুষ্ক চুলের সমস্যায় দারুণ কাজ করে ঘি। তাই বলে ঘি চুলে মাখতে যাবেন না। সকালে ঘি খেলেই কাজ হবে। ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ এবং ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফ্যাটি অ্যাসিড পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই বলাই যায়, ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতে কার্যকর। চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছে দিতেও ঘি যথেষ্ট উপকারী।
৩. মানসিক চাপ ও অবসাদের কারণে অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে চায় না, ফলে সারা দিন ক্লান্ত লাগে। এক চামচ ঘি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।