ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকার সর্বোত্তম উপায় হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। বিভিন্ন গবেষণা, চিকিৎসকদের পরামর্শ এত দিন সে কথা বলেছে। সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন’ অন্য কথা বলছে। কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কোন ধরনের পাত্রে রান্না করছেন। অ্যালুমিনিয়াম, লোহার পাত্রে রান্নার চল হারিয়ে যেতে বসেছে। বরং হেঁশেলে জায়গা করে নিয়েছে ননস্টিকের বাহারি নানা বাসনপত্র। তাতেই নাকি বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি। আর তাই মাটির পাত্রে রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছে ‘এনআইএন’। মাটির পাত্রে রান্না করা খাবার শরীরের যত্ন নেয়। সুস্থ থাকা সহজ হয়ে যায় অনেকটাই।
রান্নার পর খাবারের স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। মাটির পাত্রে রাঁধলে সে ঝুঁকি থাকে না। খাবারের স্বাস্থ্যগুণ বজায় থাকে। তবে মাটির পাত্রে রান্নার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
গরম জল করে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা পাত্রটি ভিজিয়ে রাখতে হবে। এত ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে জল শুষে নেয় হাঁড়ি। তখন তাতে কোনও খাবার ফোটাতে বা সিদ্ধ করতে সুবিধা হয়। ঘণ্টা দশেক পরে পাত্রটি আবার উনুনে বসান। জল ফুটে গেলে তা ফেলে দিন। পাত্র শুকিয়ে নিয়ে রেখে দিন। রান্নার জন্য এখন তা তৈরি। খানিকটা আটা হাতে নিয়ে ভাল ভাবে তা পাত্রের গায়ে মাখিয়ে নিতে হবে। ভাল ভাবে সেই পাত্র এ বার ঘষলে আলগা মাটি বেরিয়ে আসবে। সরে যাবে ধুলো-বালিও।
মাটির পাত্রে রান্না করার উপকারিতা কী?
সবচেয়ে প্রয়োজীয় বিষয় হল এর মাধ্যমে যে কোনও খাবার থেকে অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়। তার সঙ্গে মাটির মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং সালফার। তা-ও খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয়। তা ছাড়া, কম তেলও লাগে এই ধরনের পাত্রে রান্না করলে। অর্থাৎ, মাটির হাঁড়িতে রান্না করা খাবার খেলে কম তেল যায় শরীরে।