ডায়াবিটিস থাকলে রোজ কলা খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
ফল হিসাবে কলা মন্দ নয়। ছোট থেকে বড়, সকলেই খেতে পারেন। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও ফলটির বেশ কদর রয়েছে। সারা বছরই কলা পাওয়া যায়। এই ফলটিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এ ছাড়াও পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি রয়েছে কলায়।
পটাশিয়াম হার্টের জন্য ভাল। ভাল মানের কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তি জোগায়। এ ছাড়া রয়েছে ফাইবার, যা অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে। তবে এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কিন্তু বেশি। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিকরা কি রোজ কলা খেতে পারেন? পুষ্টিবিদ ইন্দ্রাণী ঘোষ বলেন, “কলায় যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে তা শরীরে গিয়ে গ্লুকোজ় অর্থাৎ শর্করায় পরিণত হয়। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। তবে তার জন্য শুধু কলাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সারা দিনে কতগুলি কলা খাচ্ছেন বা ফলটির সঙ্গে আর কী কী খাওয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে রক্তে শর্করা বাড়বে না কমবে।”
কলায় কী এমন আছে?
ইন্দ্রাণীর মতে, “পাকা কলার ক্যালোরি অনেকটা বেশি। তা ছাড়া এই ফলটির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশ উপরের দিকে। তাই অতিরিক্ত কলা খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে। তবে যাঁরা ব্যালান্স ডায়েট মেনে চলেন, তাঁদের জন্য কলা খুব একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না।”
কলা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে?
কায়িক পরিশ্রম করলে কিংবা রোজ জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালে অনেকটা শক্তির প্রয়োজন হয়। যে হেতু কলার ক্যালোরি অনেকটা বেশি, তাই ফলটি ডায়েটে রাখাই যায়। আবার ইন্দ্রাণীর বক্তব্য, “কলা কিন্তু মেটাবলিজ়ম অর্থাৎ বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে। তাই বুঝে খেলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।”
কোন সময়ে কলা খেলে উপকার বেশি?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফল খাওয়ার আদর্শ সময় বলে কিছু হয় না। অনেকেই সকালে জলখাবারের সঙ্গে ফল খান। আবার অনেকে বলেন, সন্ধ্যা-রাতেও ফল খাওয়া যায়। তাই কে কখন কলা খাবেন, তা অনেকটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির শারীরিক গঠন এবং কার্যকারিতার উপর। তবে ইন্দ্রাণীর মত, “সকালে শরীরের শোষণ ক্ষমতা বেশি থাকে। তাই ফল সকালের দিকে খাওয়াই ভাল।”