ডায়াবিটিস থাকলে কী খাওয়া উচিত আর কী খাওয়া উচিত নয়, সেই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই রোগীদের।
একটা বয়সের পরে ব্লাড সুগার ধরা পড়ার ঘটনা আমাদের কাছে পরিচিত। তবে এই চেনা ছবিটা গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে। ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি মানছে না বয়স। আগে মনে করা হত, কম বয়সে টাইপ ওয়ান এবং চল্লিশোর্ধ্বদের টাইপ টু ডায়াবিটিস দেখা যায় সাধারণত। এখন ছোটদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবিটিস দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যায়। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, স্থূলতা, শরীরচর্চায় অনীহা— এই রোগের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম প্রধান কারণ।
ডায়াবিটিস থাকলে কী খাওয়া উচিত আর কী খাওয়া উচিত নয়, সেই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই রোগীদের। অনেকের ধারণা, পাকা পেঁপে নাকি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কেউ আবার বলে পাকা পেঁপে খেলে ডায়াবিটিস জব্দ হয়। আদতে কোন ধারণাটি ঠিক জানেন?
চিকিৎসকদের মতে, টাইপ-২ ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ হল স্থূলতা। যাঁদের ওবিসিটি আছে, তাঁদের মধ্যে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওবিসিটি রয়েছে এমন কোনও ডায়াবেটিক রোগী যদি ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরাতে পারেন, তা হলে তাঁর ডায়াবিটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতীকী ছবি
পেঁপে কিন্তু সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরপুর পেঁপে কিন্তু ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। তাই ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা করলে ডায়েটে পাকা পেঁপে রাখতেই পারেন।
পেঁপে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়— এই ধারণা ভুল। পেঁপের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ বা জিআই-এর মান অনেকটাই কম। তাই পরিমিত মাত্রায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিজেদের ডায়েটে পাকা পেঁপে রাখতেই পারেন। তবে কাঁচা পেঁপে কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন ঝরানোর ডায়েটে পাকা ও কাঁচা দু’ ধরনের পেঁপেই রাখতে পারেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।