কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রোগী-ভিত্তিক সমস্ত নথির সারাংশ নথিভুক্ত করা থাকবে। —প্রতীকী চিত্র।
যকৃতের ক্যানসার ও সিরোসিসে আক্রান্তদের প্রতিদিনই শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে ওই রোগীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে
হবে কিংবা বাড়িতে রেখেই সামলানো সম্ভব কিনা, তার জন্য প্রয়োজন ঠিকঠাক পরামর্শের। আবার যকৃতের ওই জটিল রোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনো রোগীর শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যার জন্য প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের। এই সমস্ত কিছুই এ বার অ্যাপের মাধ্যমে রোগী ও তাঁর পরিজনদের কাছে পৌঁছে দিতে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভিসিইউ) সঙ্গে যৌথ ভাবে পদক্ষেপ করল লিভার ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার ‘আরএএক্সএ’ অ্যাপটির উদ্বোধন করেন ‘ভিসিইউ’-এর স্কুল অব মেডিসিনের
অধিকর্তা অরুণ সান্যাল। উপস্থিত ছিলেন ‘দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার’ (আইএনএএসএল)-এর সম্পাদক অজয় ডুসেজ়া। অরুণ জানান, যকৃতের সিরোসিস ও ক্যানসারে আক্রান্তদের রক্তবমি, জ্বর, পেটে যন্ত্রণা, আচ্ছন্ন হয়ে পড়া, মাথা ঘোরার মতো বিভিন্ন সমস্যা যে কোনও সময়ে দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কী করণীয়, বুঝতে না পেরে হাসপাতালে দেরিতে পৌঁছনোয় মৃত্যুও ঘটে। আবার অহেতুক হাসপাতালেও চলে যান অনেকে। প্রবাসী চিকিৎসক সুরজিৎ নন্দীর তৈরি ওই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি আপলোড করতে পারবেন রোগীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রোগী-ভিত্তিক সমস্ত নথির সারাংশ নথিভুক্ত করা থাকবে।
লিভার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানান, সমস্যা হলে রোগী অ্যাপে কিছু জানালেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছবে। তিনি রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করণীয়, তা জানিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে নথিভুক্ত থাকা তথ্যও পরীক্ষা করে দেখে নেবেন ওই চিকিৎসক। ২৪ ঘণ্টার এই পরিষেবার জন্য কয়েক জন চিকিৎসককে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতার ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা
রোগীদের বাড়িতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খোঁজখবর নেবেন চিকিৎসক, নার্সেরা। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘চরম অসুস্থতার মধ্যেও জীবনটাকে ভাল রাখার
জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এই পদক্ষেপ। রাজ্যে সাফল্য পেলে দেশের অন্যত্রও অ্যাপটি ব্যবহারের ব্যবস্থা করবে ‘আইএনএএসএল’।’’