ছবি: সংগৃহীত।
হাতের কাছে সব সময়ে ‘ডিএসএলআর’ ক্যামেরা থাকে না। তা ছাড়া অফিসে বেরোনোর সময়ে রোজ গলায় বিশ মন ভারী ক্যামেরা ঝুলিয়ে রাখাও তো কাজের কথা নয়। তাই ফোনের ক্যামেরাই ভরসা। ঘুরতে যাওয়াই বলুন, বা যাতায়াতের পথে হঠাৎ চোখে পড়া সুন্দর কোনও মুহূর্ত— ফোনের ক্যামেরাতেই সব বন্দি থাকে। তেমনই একটি সুন্দর মুহূর্তের ছবি তুলতে গিয়ে দেখলেন ফোনের ক্যামেরায় ভেসে উঠল, ‘অমোঘ বাণী’। জায়গা একেবারে খালি নেই! এখনই পুরনো ছবি বা ভিডিয়ো ডিলিট না করলে কোনও কাজই করা যাবে না। উল্টে ফোনের গতি কমে যাবে। আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড— এই ধরনের সমস্যা সব ধরনের ফোনেই হয়। তবে কয়েকটি টোটকা জানা থাকলে ফোনের লাইব্রেরিতে জায়গার অভাব সহজেই দূর করা যাবে।
কী ভাবে শুরু করবেন ফোনের ‘সাফাই’ অভিযান?
· অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সাধারণত সেটিংস থেকেই যা করার করতে হয়। সেটিংস থেকে স্টোরেজ অপশনে গিয়ে দেখতে হয় কতটা জায়গা ফাঁকা আছে বা আদৌ জায়গা আছে কি না।
আইফোন বা আইপ্যাডের ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে প্রথমে জেনারেল অপশনে ক্লিক করতে হয়। তার পর ফোনের স্টোরেজ দেখা যায়।
· একই ছবি বা ভিডিয়ো বহু বার তোলা হয়েই থাকে। ‘ডুপ্লিকেট’ বা হুবহু একই রকম দেখতে ছবিগুলি ফোনের জায়গা দখল করে বসে থাকে। এই জিনিসগুলি মুছে ফেলতে পারলেও ফোনে অনেকটা জায়গা পাওয়া যায়।
আইফোনের ক্ষেত্রে অ্যালবাম আইকনে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে স্ক্রল করে যেতে হবে একেবারে নীচে ইউটিলিটি এরিয়াতে । সেখানে ডুপ্লিকেট বলে একটি অপশন পাওয়া যাবে। সেখানে সদৃশ ছবি বা ভিডিয়োর তালিকা থাকবে। মার্জ বাটনে ক্লিক করলেই মূল ছবি বাদে অন্যগুলি নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যাবে।
· অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে মাই ফাইলস নামে একটি ফোল্ডার পাওয়া যাবে। সেখান থেকে অ্যানালাইজ় স্টোরেজে ক্লিক করলে ডুপ্লিকেট ফাইলের তালিকা দেখা যাবে। তা ছাড়া সদৃশ ছবি বা ভিডিয়ো আলাদা করার জন্য গুগ্লের নিজস্ব ফোটো অ্যাপও রয়েছে। প্লে স্টোর থেকে সেই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিলে গুগ্ল নিজে থেকেই ব্যবহারকারীর কাছে জানতে চাইবে তাঁর ফোনে জমা অতিরিক্ত এবং একই রকম দেখতে ছবিগুলি তিনি মুছে দিতে চান কি না।
· তা ছাড়া আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড— সব ধরনের ফোনের জন্য এখন বিভিন্ন ধরনের ‘ক্লিনিং’ অ্যাপ পাওয়া যায়। সেগুলিও নিখরচায় প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে।