অনেকটা পরিমাণ ডাল এনে রেখে দিলে পোকা ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছবি: সংগৃহীত
ডালে পোকা ধরার সমস্যা নতুন নয়। বর্ষাকালে মূলত এই ধরনের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। তবে সঠিক যত্নের অভাবে শীতকালেও ডালে পোকা ধরে যেতে পারে। শীতে অধিকাংশ সময় ঘরের পরিবেশও কেমন যেন স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। অনেকেই সারা মাসের জিনিসপত্র একবারে কিনে রাখেন। শীত পড়তেই সেগুলি বারে বারে একটু রোদে না দিলে পোকা ধরার আশঙ্কা থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ডাল রোদে দেওয়ার সময় হাতে থাকে না। রোদে না দিলেও অন্তত কয়েকটি টোটকা মেনে চললে ডালে পোকা ধরার সমস্যা কিছুটা হলেও আটকানো যায়।
নিমপাতা
পোকামাকড় দূর করতে নিমপাতার মতো উপকারী জিনিস আর নেই। বিভিন্ন ঘরোয়া সমস্যায় নিমপাতার ব্যবহার বহু দিনের। ত্বকের সংক্রমণ দূর করা থেকে শুরু করে শরীরের যত্ন— সবেতেই নিমপাতার ব্যবহার প্রচলিত। পোকা ধরার হাত থেকে ডাল সুরক্ষিত রাখতেই তাই ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতা। ডালের কৌটোর মধ্যে ডাল-সহ নিমপাতা রেখে দিন। নিমের গন্ধে ডালের কাছে পোকামাকড় ঘেঁষতে পারবে না।
রসুন
রক্তচাপ কমাতে রসুনের ভূমিকা সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল। তবে ডালের পোকামাকড় তাড়াতেও এর ব্যবহার কিন্তু দারুণ সুফল দেয়। ডালের কৌটোর মধ্যে তিন-চারটি খোসা ছাড়ানো রসুন রেখে দিন। কয়েক দিন অন্তর পুরনো রসুনগুলি ফেলে নতুন কোয়া রাখুন। ডালে পোকা লাগবে না।
লবঙ্গ
সর্দি-কাশি কমাতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া টোটকা হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে লবঙ্গ। পোকা ধরার আশঙ্কা দূর করতে ডালের কৌটোর মধ্যে ৮-১০টি লবঙ্গ ফেলে রাখুন। পোকা তো লাগবেই না, বরং দীর্ঘ দিন সতেজ থাকবে ডাল।
রোদে না দিলেও অন্তত কয়েকটি টোটকা মেনে চললে ডালে পোকা ধরার সমস্যা কিছুটা হলেও আটকানো যায়। ছবি: সংগৃহীত
শুকনো লঙ্কা
ডালে পোকা ধরার সমস্যা আটকানোর আরও একটি ঘরোয়া উপায়— ডালের কৌটোতে শুকনো লঙ্কা ফেলে রাখলে পোকা লাগবে না। দু-তিনটি শুকনো লঙ্কা ডালের মধ্যে রাখলে, এই লঙ্কার ঝাঁঝে দূরে পালাবে পোকামাকড়।
ডাল ফ্রিজে রাখতে পারেন
রান্না করা ডাল ভাল রাখতে তো ফ্রিজে রাখেন। কাঁচা ডালের যত্ন নিতেও ব্যবহার করতে পারেন ফ্রিজ। অনেকেই এই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন। তবে একবারে খুব বেশি ডাল ফ্রিজে রাখবেন না। জিপলক কৌটোতে ভাল করে আটকে তবেই রাখুন ডাল।