কোলা কোন বিপদ ডেকে আনছে? ছবি : সংগৃহীত
শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি, তেমন প্রতি দিনের খাবারের তালিকা থেকে কিছু খাবার বা পানীয় একেবারেই বাদ দিতেও বলেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষ করে অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেও সন্তানধারণ করতে পারছেন না যে সব দম্পতি, তাঁদের খুবই সতর্ক থাকতে হয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বোতল বন্দি ঠান্ডা পানীয় এবং সোডা খেতে অভ্যস্ত যে সব দম্পতি, তাঁদের সন্তানধারণে বেশি সমস্যা হয়। কারণ, এই জাতীয় পানীয় পুরুষ এবং মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
ঠান্ডা পানীয় খেলে প্রজনন ক্ষমতা কমে কেন?
১) কৃত্রিম চিনির ব্যবহার
ঠান্ডা নরম পানীয়ের হালকা মিষ্টত্ব আসলে ‘অ্যাসপার্টাম’ আসলে একটি রাসায়নিক যৌগ। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় খেলে, শরীরের বিভিন্ন হরমোন গ্রন্থিগুলির উপর প্রভাব ফেলে। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে মহিলাদের সন্তানধারণে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি করে।
২) কোষ নষ্ট করতে সক্ষম
‘অ্যাসপার্টাম’-এ রয়েছে ‘ফেনালালানাইন’ এবং ‘অ্যাসপার্টিক’ নামক দুটি অ্যাসিড। যা আপাত ভাবে ক্ষতি না করলেও শুক্রাণু বা ডিম্বাণুর মধ্যে থাকা কোষগুলি নষ্ট করে দেয়।
বোতলবন্দি এই পানীয়গুলি শরীরের বিপাক হার এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ছবি : সংগৃহীত
৩) প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
শুধু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়াই নয়, বোতলবন্দি এই পানীয়গুলি শরীরের বিপাক হার এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে স্থূলত্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শুধু সন্তানধারণই নয়, কিছু ক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৪) শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়
ঠান্ডা পানীয় খেতে অভ্যস্ত এমন পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা, যাঁরা ঠান্ডা পানীয় খান না তাঁদের তুলনায় অনেক কম। এই জাতীয় পানীয়ে ক্ষারত্বের মাত্রা বেশি থাকে। নরম পানীয় অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে শরীরের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব সরাসরি পড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর উপর।
৫) ডিম্বাশয়ের নানা জটিলতা সৃষ্টি করে
এই জাতীয় যে কোনও পানীয়ে থাকে ‘ক্যাফিন’ এবং ‘ফ্রুক্টোজ়’ নামক যৌগ। যা মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম একটি কারণ। এ ছাড়াও জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেওয়া, ঋতুচক্রের অনিয়ম এবং যৌন জীবনে তার প্রভাব ফেলার পিছনে যথেষ্ট নেতিবাচক ভূমিকা রয়েছে নরম পানীয়ের।