বিরাটের ঝোড়ো পারফরমেন্সের রহস্য ফাঁস। ছবি : ইনস্টাগ্রামের পাতা থেকে।
শত সমালোচনা এবং বিতর্কের মুখে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, অন্য সকলের থেকে তিনি কতটা আলাদা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাটের পারফরম্যান্স নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু রবিবারের ৫৩ বলে ৮২ রানের যে ঝোড়ো ইনিংসটি তিনি খেলেছেন, তার পর তাঁর দক্ষতা নিয়ে সহজে আর কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতকে জেতানোর যে বিধ্বংসী ইনিংসটি তিনি খেলেছেন, তা তাঁর টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের অন্যতম সেরা একটি পারফরম্যান্স বলে মনে করেন বিরাট নিজেই। অনুরাগীরা তো বটেই, তাঁর এই ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত বিরাট-পত্নী অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মাও।
এমন ঝোড়ো ফর্মে ফেরার পিছনে অধ্যবসায় যেমন ছিল, তেমন ছিল শরীরচর্চা এবং ডায়েটের কঠিন বেড়াজাল। নিজেকে বিরাটের মতো ফিট রাখতে, একবার চোখ বুলিয়ে নিতেই পারেন তাঁর ফিটনেস রুটিন এবং খাবারের তালিকার দিকে।
সাধারণত বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতেই পছন্দ করেন বিরাট। বাড়ির খাবারের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ভাল খাবার আর দ্বিতীয় হয় না, তা নিশ্চয়ই সকলে জানেন। বাইরের খাবার খেতে ইচ্ছে করলেও করা এই অনুশাসনে নিজেকে বেঁধে ফেলা, বিরাটের সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি।
খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাট কোহলির শারীরিক ফিটনেস অন্যতম চর্চার বিষয়। ছবি : সংগৃহীত
এবার দেখে নেওয়া যাক বিরাটের ফিটনেস রুটিন—
ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাট কোহলির শারীরিক ফিটনেস অন্যতম চর্চার বিষয়। হয়তো সেই কারণেই খেলতে গিয়ে কোনও চোট পেলে, চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে, তা দিন পনেরোর মধ্যেই সারিয়ে তুলতে পারেন বিরাট।
যে কোনও ধরনের শরীরচর্চার ক্ষেত্রেই ওয়ার্ম আপ জরুরি। অনেকেই এই পর্বটিতে বিশেষ জোর দিতে চান না। মূল ব্যায়াম শুরু করার আগে শরীরকে তৈরি করতে না পারলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই পর্বের উপর বিশেষ জোর দেন তিনি। ব্যায়াম শুরুর আগে অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা দৌড় বিরাটের রুটিনে থাকবেই। ওয়ার্ম আপ ছাড়াও কার্ডিয়ো, স্ট্রেচ, ওজন তোলা, পেটের মাংস পেশি টান টান রাখার দিকে নজর দেন বিরাট।
বিরাটের ফিটনেসের আর একটি মন্ত্র হল শরীরচর্চার গতে বাঁধা ছকে নিজেকে বেঁধে না ফেলা। উল্লেখিত ব্যায়ামগুলো ছাড়াও, সারা শরীরের পেশিগুলির কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রায় প্রতিদিনই স্কোয়াটস্, ডেডলিফ্ট, টুইস্ট, ফ্রন্ট লাঞ্জেসের মতো ব্যায়ামগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অভ্যাস করেন বিরাট।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ ডায়েটের উপর ভরসা রাখেন বিরাট। ছবি : সংগৃহীত
নিজের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েটের উপর ভরসা রাখেন বিরাট। অন্যান্য খাবার মেপে খান। ‘কোয়াসি-ভেজিটেরিয়ান’ অর্থাৎ আংশিক নিরামিষাশী হওয়ায়, বিরাট মাঝেমধ্যে নানা রকম সামুদ্রিক মাছ, মাংস বা পোল্ট্রিজাত খাবার খেয়ে থাকেন।প্রাতরাশে তিনটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি অমলেট এবং বাদামের মাখন দেওয়া আটার পাউরুটি খেতে পছন্দ করেন বিরাট।
দুপুরে থাকে মুরগির মাংস এবং পালং শাক দিয়ে বানানো একটি ঝোল বা স্যুপ।
রাতে স্যুপ, স্যালাড এবং সঁতে করা বিভিন্ন রকম সব্জি।