প্রন ডায়নামাইট। ছবি সৌজন্যে: ‘এফিনগট’।
খাওয়াদাওয়া ছাড়া তো উৎসব হয় না। এ সময়ে যদি বাড়িতে রান্না করার ঝামেলা নিতে যদি ইচ্ছা না করে, তা হলে ভাই বা দাদাদের সঙ্গে নিয়ে ঢুঁ মারতেই পারেন শহরের কোনও রেস্তরাঁয়। তবে যাওয়ার আগে জেনে নিন, কোন রেস্তরাঁয় কোন খাবার পাওয়া যায়।
বাঙালি থালি। ছবি সৌজন্যে: ‘কলকাতা লোকাল’
পঞ্জব্যঞ্জনে সাজানো বাঙালি খাবার তো অনেক খেয়েছেন। এ বছর ভাই বা দাদাকে উপহার দিতে পারেন মায়ানমারের রান্না। বালিগঞ্জের রেস্তরাঁ ‘বার্মা বার্মা’ এ সময়ের জন্য তৈরি করেছে বিশেষ প্যান্ট্রি গিফ্ট বক্স।
ভাই বা দাদাদের নিয়ে যেতে পারেন ‘হার্ড রক ক্যাফে’-তে। সেখানকার মেজ় প্ল্যাটার, কর্ন মালাই টিক্কি সহযোগে সন্ধ্যার চা জমে যাবে। আর রাতে কাসুন্দি ভেটকি ফিশ, হার্ব গ্রিলড চিকেন থেকে চিংড়ি মাছের মালাইকারি, সবই পাবেন।
প্যান্ট্রি গিফ্ট বক্স। ছবি সৌজন্যে: ‘বার্মা বার্মা’।
একটি রেস্তরাঁয় গিয়েই যদি বিভিন্ন জায়গার বিশেষ বিশেষ পদ চেখে দেখা যায়, তবে মন্দ হয় না। যেমন ধরুন পার্ক স্ট্রিট পনির টিক্কা প্ল্যাটার, রাজস্থানি মুর্গ, চারমিনার শিকামপুরি কবাব, বম্বে স্লাইডার। এক ছাদের নীচে এ সবই পাবেন ‘এলএমএনও-কিউ’-তে।
বিরিয়ানি, কালিয়া, কোর্মা যতই খাই না কেন, মিষ্টির কাছে সবাই কুপোকাত। তবে গোলাপজাম, রসগোল্লা, সন্দেশ নয় মিষ্টিতেও নতুনত্ব এনেছে ‘টু ডাই ফর’। এখানে এলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন গোলাপ জল এবং পেস্তা বাদাম দেওয়া ‘ওয়াটার কেক’।
‘ওয়াটার কেক’। ছবি সৌজন্যে: ‘টু ডাই ফর’।
ভাই বা দাদা কি ইটালির খাবারের ভক্ত? ‘মিক্স’-এর ভাল ইটালিয়ান কুইজিন কলকাতায় আর পাবেন না।
এত কিছুর পরও যদি বাঙালি খাবারের জন্য মন উচাটন হয়, চোখ বন্ধ করে চলে যান ‘কলকাতা লোকাল’-এ। চিংড়ি মাছের মালাইকারি থেকে ধনে পাতা মুরগি, পোলাও-কষা মাংস সবই পাবেন এখানে।
চিকেন মাখানি থেকে খাও সুই, রোজ়ালি কবাব, ডায়নামাইট প্রন, মুখ মিষ্টির জন্য সিজ়লিং ব্রাউনি রকমারি রান্নার ব্যবস্থা করেছে পার্ক স্ট্রিটের ‘এফিনগট’।
উৎসবের মরসুমে যে কোনও একটি জায়গায় গেলেই হল। মন যা চায়, তা-ই হাজির করা যাবে প্রিয়জনেদের সামনে।