কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
আমিষ রান্না পেঁয়াজ ছাড়া অসম্পূর্ণ। রান্নার স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পেঁয়াজ কাটতে গেলেই নাকের জলে চোখের জলে হতে হয় অনেকেই। কিন্তু পেঁয়াজের গুণ হল বহুমুখী। বিশেষ করে গরমে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। গরমে এমনিতেই রান্নায় আদা, পেঁয়াজ, রসুনের ব্যবহার কম করেন অনেকেই। কিন্তু কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কোনও অসুবিধা হবে না বলে মত চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদদের। গ্রীষ্মকালে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার কী কী স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে?
সংক্রমণের ঝুঁকি কমে
গরমকাল মানেই সংক্রমণের ভয়। নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গরমে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পেঁয়াজ খাওয়া জরুরি। প্রতি দিন অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
শরীর ঠান্ডা রাখতে
এই মরসুমে শরীর অত্যধিক গরম হয়ে যায়। পেটগরমের হাত ধরে গ্যাস, অম্বল, বদহজম লেগেই থাকে। অনেকেই জানেন না, কাঁচা পেঁয়াজ পেট ঠান্ডা রাখে। গ্রীষ্মকালীন অস্বস্তি দূর করতেও পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার।
কাঁচা পেঁয়াজ পেট ঠান্ডা রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
পেঁয়াজের অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যে কোনও ধরনের সংক্রমণের মোকাবিলা করে। পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-নাইন ও ভিটামিন সি। ফ্যাট, কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকায় প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ থাকলে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথার সমস্যাও কম হয়।
গরমে ত্বকের যত্নে
গরমকালে ত্বকে র্যাশ, রোদে পুড়ে কালচে দাগছোপ পড়া, ট্যানের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। পেঁয়াজের রসে রয়েছে এই সমস্যার চটজলদি সমাধান। রোদ থেকে ফিরে পেঁয়াজের রসে তুলো ভিজিয়ে সারা মুখে বুলিয়ে নিতে পারেন। দারুণ উপকার পাবেন।