ব্রণ দেখলেই খুঁটতে ইচ্ছে করে? ছবি: সংগৃহীত।
পিচঢালা মসৃণ রাস্তা। খানিকটা যেতেই বড় বড় গর্ত! এমন রাস্তায় গাড়ি চালানো যেমন সমস্যার, তেমন হাঁটাও ঝক্কির। ওই রাস্তার মতো অনেকের মুখেও এমন গর্ত দেখা যায়। বসন্তের গুটি ফেটে শুকিয়ে যাওয়ার পর অনেক সময়ে এমন দাগ থেকে যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মুখে এই গর্ত বা দাগ হয় গুটির চেয়ে আকারে ছোট, তুচ্ছ ব্রণ থেকে।
ব্রণ দেখলেই খুঁটে ফেলার জন্য হাত নিশপিশ করে অনেকের। আয়নার সামনে দাঁড়িয়েও দোলাচলে ভোগেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও শেষমেশ সেই নখ দিয়ে ব্রণ খুঁটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ব্রণের ভিতরে জমে থাকা পুঁজ, রক্ত লাভার মতো বেরিয়ে আসতে শুরু করে। দিন কয়েকের মধ্যে তা শুকিয়ে যায় বটে, কিন্তু ওই অংশে বিশ্রী গর্ত হয়ে যায়, দাগও থেকে যায়। এই গর্ত কিন্তু সহজে বোজানো যায় না। কিছু ক্ষেত্রে দাগও থেকে যায় আজীবন। তা হলে কী করবেন?
১) ব্রণ যদি নিজে থেকে ফেটে যায়, তা হলে আলাদা কথা। কিন্তু নখ বা কোনও যন্ত্রের সাহায্যে তা খোঁটা যাবে না।
২) ব্রণ নিজে থেকে ফেটে যাওয়ার পর অ্যান্টিসেপ্টিক কোনও সলিউশন দিয়ে ক্ষতস্থান ভাল করে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। না হলে সংক্রমণের ভয় থাকতে পারে।
৩) প্রদাহ, ব্যথা কমাতে ওই অংশে বরফ ঘষা যেতে পারে। তবে ত্বকে সরাসরি বরফ না ঘষাই ভাল।
৪) ফেটে যাওয়া ব্রণের উপর কোনও ভাবেই রাসায়নিক দেওয়া, সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী, মেকআপ ব্যবহার করা যাবে না।
৫) ব্রণের বাড়বাড়ন্ত বশে রাখতে এখন অনলাইনে নানা রকম প্রসাধনী (জেল, প্যাচ, সিরাম) কিনতে পাওয়া যায়। যদিও এই ধরনের প্রসাধনীতে রাসায়নিক থাকে।