অন্তর্বাস পরে ঘুমোলে শারীরিক কোন কোন সমস্যার মুখে পড়তে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুরতে গিয়ে ছ’বন্ধু একই ঘরে থাকবেন। শোয়ার সময়ে অনেকেরই পোশাক বিস্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই রাত্রিবাসের নীচে অন্তর্বাস পরেই ঘুমোতে যাবেন বলে মনস্থ করেছেন। শীতের জায়গায় পোশাকের ভিতর অন্তর্বাস থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ঘুরতে না গেলেও লোকলজ্জার কথা ভেবে শিশুদেরও এই অভ্যাস রপ্ত করান অভিভাবকেরা। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, রাতে অন্তর্বাস পরে ঘুমোনোর অভ্যাস ত্বকের তো বটেই, শরীরের পক্ষেও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বেঙ্গালুরুর আত্রেয় হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ভিনুতা জি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ত্বকের সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে থাকে অন্তর্বাস। হাওয়া চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ঘাম হলেও চট করে শুকোয় না। সেখান থেকে ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।”
পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই অভ্যাস ভাল নয়। গোপনাঙ্গে ঘাম জমলে পুরুষদের শরীরের ওই বিশেষ অঙ্গের ত্বকে অস্বস্তি হতে পারে, চুলকানি হতে পারে। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্তর্বাস পরে ঘুমোনোর আরও খারাপ দিক রয়েছে। দীর্ঘ ক্ষণ অন্তর্বাস পরে ঘুমোলে ত্বকে তো বটেই, মহিলাদের যৌনাঙ্গেও সংক্রমণ হতে পারে। পরবর্তী কালে প্রজননের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর কিংবা এগজ়িমার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যদি অন্তর্বাস পরে ঘুমোনোর অভ্যাস করেন, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। ভিনুতা বলছেন, নাতিশীতোষ্ণ, ভিজে জায়গায় ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া সহজে বাসা বাঁধতে পারে। সেখান থেকেই ত্বকে সংক্রমণ হয়। এ ছাড়া সিন্থেটিক বা নাইলনের অন্তর্বাস থেকেও ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরে ঘুমোলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। হাওয়া চলাচল ব্যাহত হয়। ত্বকের উপর অন্তর্বাসের শক্ত বাঁধন রক্ত জমাট করে তুলতে পারে। ভিনুতার মত, “ঘুমোনোর সময়ে অন্তর্বাস না পরাই ভাল। বদলে হালকা, সুতির পোশাক পরা যেতে পারে। একান্তই যদি অন্তর্বাস পরতে হয়, তবে সেটিও আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়।”