পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট সক্রিয়। শুধু সিনেমা নয়, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়েও সমান ভাবে তাঁর ‘প্রতিবাদী সত্তার’ বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ বার পরিচালক ‘বলিউড’-কে তীব্র আক্রমণ করলেন। বললেন বলিউড নাকি নিজেই তার ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে! কিন্তু কেন?
শুক্রবার টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন বিবেক। সেই ছবিটি আসলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত ‘ব্লাডি ড্যাডি’ ছবিটির পোস্টার। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহিদ কপূর। ছবিটি শুক্রবারেই মুক্তি পেয়েছে। তবে প্রেক্ষাগৃহে নয়, আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পেয়েছে একটি ওটিটি মাধ্যমে। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, প্রতি শুক্রবার একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচুর ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তাতে সমস্যা কোথায়? সমস্যা রয়েছে এই ছবির বিপনন কৌশল নিয়ে। কারণ সংশ্লিষ্ট ওটিটি মাধ্যমে ছবিটি দর্শক নিখরচায় দেখতে পাবেন। শুধু বিনামূল্যে ওই ওটিটির সদস্যপদ গ্রহণ করলেই কেল্লাফতে। আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখেছেন ‘দ্য কশ্মীর ফাইল্স’-এর পরিচালক।
শাহিদ কপূর বলিপাড়ার প্রথম সারির তারকা। তাঁর কোনও ছবি তৈরির বাজেট নেহাত কম হওয়ার কথা নয়। শোনা যাচ্ছে ‘ব্লাডি ড্যাডি’র জন্য শাহিদ নাকি একাই ৪০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। ফলে তা থেকে ছবির সম্পূর্ণ বাজেটের হালকা আন্দাজ পাওয়া যেতেই পারে। বিবেক লিখেছেন, ‘‘২০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি কোনও ছবি কেউ বিনামূল্যে কেন দেখাতে চাইবেন? তাঁর উন্মাদ ব্যবসায়িক কৌশলটি ঠিক কী রকমের?’’ এই সঙ্গে পরিচালক লেখেন, ‘‘দুঃখের বিষয় বলিউড তার ধ্বংসেরই উদ্যাপনে মেতেছে।’’
এক জন টুইটার ব্যবহারকারী পরিচালককে জানান যে, এই কৌশলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ওটিটি দর্শক টানবে। প্রথমে কয়েক মাসের জন্য বিনামূল্যে কনটেন্ট দেখতে দেবে। তার পর ক্রেতা ধরে রাখতে তারা সামান্য টাকা নেবে। ওটিটি মুনাফা অর্জন করতে টিভির মতোই বিজ্ঞাপনের দিকে ঝুঁকবে। উত্তরে ওই ব্যক্তির উদ্দেশে বিবেক শ্লেষভরে লেখেন, ‘‘তার মানে এই দু’শো কোটি টাকা আসলে ওদের বিজ্ঞাপনের খরচ?’’ অনেকেই বিবেকের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।