স্টুডিয়োয় গান রেকর্ড করছেন সোনু নিগম (বাঁ দিকে) ও আশা ভোঁসলে (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এখন তাঁর বয়স ৯০ বছর। কাজ করেন বেছে। তবে বাংলায় আশা ভোঁসলের অনুরাগীদের জন্য সুখবর। দীর্ঘ দিন পর আবার বাংলা গান রেকর্ড করলেন আশা। এই অসাধ্যসাধনের নেপথ্যে রয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক মনোজিৎ গোস্বামী।
বেশ কয়েক বছর আগে বাংলায় পুজোর গান রেকর্ড করেছিলেন আশা। তার পর আবার তিনি বাংলা গান গাইলেন। তবে এ বারে তিনি ছবির গান গেয়েছেন।
চমক আরও রয়েছে। ছবির জন্য মোট তিনটি গান গেয়েছেন আশা। তার মধ্যে একটি তাঁর একক। অন্য দু’টি গানে আশার সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন সোনু নিগম। তিনটি গানেরই গীতিকার মনোজিৎ।
চলতি মাসেই মুম্বইয়ে পঞ্চম স্টুডিয়োয় গানগুলি রেকর্ড করেছেন আশা। সময় নিয়েছেন দু’দিন। কিন্তু মনোজিৎ জানালেন, বর্ষীয়ান শিল্পীকে রাজি করাতেই নাকি তাঁর ছ’মাস সময় লেগেছে।
সঙ্গীত পরিচালক অজয় দাসের সহকারী হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন মনোজিৎ। সেই সূত্রেই আশার সঙ্গে তাঁর আলাপ। বর্ষীয়ান শিল্পীকে কী ভাবে রাজি করালেন? মনোজিৎ হেসে বললেন, ‘‘২০১৩ সালে ওঁর সঙ্গে প্রথম কাজ। আট-দশটা কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। দিদির শরীর ভাল নেই, কিন্তু উনি তার পরেও যে রাজি হয়েছেন, সেটা আমার পরম প্রাপ্তি।’’
কোন ছবিতে গানগুলি ব্যবহার করা হবে, সে প্রসঙ্গে এখনই কোনও তথ্য দিতে নারাজ মনোজিৎ। তবে জানালেন, ছবিতে গানের সঙ্গেই একটি বিশেষ মুহূর্তে আশাকে পর্দায় দেখবেন দর্শক। মনোজিতের কথায়, ‘‘এর আগে এ রকম ঘটনা ঘটেছে কি না আমার জানা নেই। তবে এটি দিদির অনুরাগীদের জন্য একটা বড় চমক হতে চলেছে। পাশাপাশি বাংলা গানে আশা-সোনু ডুয়েটও আনকোরা।’’
‘নন্দিতা ফিল্ম অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট’ প্রযোজিত এই গানগুলি শ্রোতারা কবে শুনতে পাবেন? পরিচালক জানালেন, তাঁর ইচ্ছা বছরের শেষে গানগুলি মুক্তি পাক। তবে ছবিটির মুক্তি আগামী বছর। মনোজিতের কথায়, ‘‘আমরা চাই দিদিই এই গান শ্রোতাদের কাছে প্রথম বার তুলে ধরুন। অর্থাৎ উদ্বোধন বলতে চাইছি।অবশ্য সবটাই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক সুস্থতার উপর।’’