কারও সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ কোটি, কারও বা ৯০ কোটি। প্রভু দেবা, ফারহা খানদের মতো দেশের এই জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফারদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত জেনে নিন।
রেমো ডিসুজা: বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার। ‘এবিসিডি’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ এবং ‘বাজিরাও মস্তানি’-সহ কয়েকটি ছবিতে ডান্স ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।
বেশ কয়েকটি রিয়েলিটি শো-তেও বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ডিসুজার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ কোটি টাকা।
ফারহা খান: পরিচালনা, প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন ফারহা। তবে কোরিওগ্রাফার হিসেবেই জনপ্রিয় তিনি। ৮০টি হিন্দি ছবিতে একশোরও বেশি গানে কোরিওগ্রাফ করেছেন।
সেরা কোরিওগ্রাফির জন্য ৬টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। ফারহার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ কোটি টাকা।
আহমদ খান: কোরিওগ্রাফার হিসেবে কেরিয়ার শুরুর আগে মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। ‘তাল’, ‘গজনী’ এবং ‘কিক’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে করেছেন কোরিওগ্রাফ।
কোরিওগ্রাফের পাশাপাশি পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি টাকা।
গণেশ আচার্য: ভারতের সেরা কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে অন্যতম গণেশ। তাঁর বাবা মিস্টার গোপীও ছিলেন এক জন কোরিওগ্রাফার। গণেশের যখন ১০ বছর বয়স প্রচণ্ড অভাব-অনটনে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় তাকে। এর পর কটকে গিয়ে দিদির কাছে নাচ শেখেন। ১২ বছর বয়সে নিজের একটা ডান্স গ্রুপ তৈরি করেন।
কোরিওগ্রাফার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন ‘অনাম’ ছবিতে। গণেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭ কোটি টাকা।
বস্কো মার্টিস: বস্কো মার্টিস এবং সিজার গঞ্জালভেজ যৌথ ভাবে কোরিওগ্রাফ করেন। বস্কো-সিজার নামেই বেশি পরিচিত এই জুটি। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবিতে ‘সেনোরিটা’ গানের জন্য সেরা কোরিওগ্রাফার হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান।
বস্কো-সিজার ডান্স কোম্পানি রয়েছে ব্রাম্পটন, স্কারবরো এবং কলকাতার ফুলবাগান ও সল্টলেকে। বস্কোর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪ কোটি টাকা।
রাঘব লরেন্স: ১৯৯৩-তে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। কোরিওগ্রাফের পাশাপাশি অভিনয়, পরিচালনা এবং প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর।
হিপ-হপ এবং ওয়েস্টার্নাইজড ডান্স মুভের জন্য তিনি জনপ্রিয়। রাঘবের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৪ কোটি টাকা।
প্রভু দেবা: দেশের অন্যতম সেরা কোরিওগ্রাফার। প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয়ের কাজও করেছেন। কাজ করেছেন তামিল, তেলুগু, হিন্দি, মালায়লম এবং কন্নড় ছবিতে।
২৫ বছরের কেরিয়ারে দুটো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কোরিওগ্রাফির জন্য। ২০১৯-এ পেয়েছেন পদ্মশ্রী। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা।