সারা-সুশান্ত।
সুশান্তের টিমের প্রাক্তন সদস্য স্যামুয়েল হওকিপ ইনস্টাগ্রামে মুখ খুলেছিলেন সুশান্ত আর সারা আলি খানের প্রেম নিয়ে। এ বার সারা ও সুশান্তকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আনলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ফার্মহাউজের রক্ষী। সুশান্ত সিংহ রাজপুত নাকি তাঁর ‘কেদারনাথ’ কো-স্টারকে প্রপোজ করতেন গত বছর ফেব্রুয়ারিতেই। কিন্তু তার আগেই নাকি শেষ হয়ে যায় সবকিছু।
রইস নামে ওই নিরাপত্তারক্ষী ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে সুশান্তের লোনেভলার ফার্মহাউজে কাজে ঢোকেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রইস জানান, সুশান্তের মৃত্যুর পরেও জুলাই অবধি ওই ফার্মহাউজের দেখভাল করেছেন তিনি।
রইস জানান, ২০১৮-র শেষের দিকে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ফার্মহাউজে যাতায়াত শুরু করেন সারা। যখনই আসতেন তিন-চার দিন কাটিয়ে তবে ফিরে যেতেন তাঁরা। সারা-সুশান্তের সেই বহুল চর্চিত তাইল্যান্ড ট্রিপ থেকে ফিরে এসে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ওই ফার্মহাউজে পৌঁছেছিলেন ওঁরা, জানান রইস। তাঁর কথা থেকেই জানা যাচ্ছে, ওই দিন সারা ও সুশান্ত ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন আরও এক ব্যক্তি। সম্ভবত তিনি স্যামুয়েল, সুশান্তের বন্ধু। কারণ এর আগে সুশান্তের আর এক বন্ধু সাবির জানিয়েছিলেন, সারাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিতে এসেছিলেন স্যামুয়েলই।
আরও পড়ুন- ছেঁড়া হচ্ছে ছবি, মাখানো হচ্ছে কালি, কঙ্গনার মুম্বই প্রবেশ নিয়ে উত্তাল নগরী
রইসের কথায়, “সারা ম্যামের ব্যবহার খুবই ভাল ছিল। যিনি রান্না করতেন তাঁকে ডাকতেন ‘মউসিজি’ বলে। আমায় বলতেন রইস ভাই। সুশান্ত স্যরের সব কর্মচারীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন সারা ম্যাম।কিন্তু কী এমন হল যে শেষ হয়ে গেল তাঁদের সম্পর্ক?
রইস বলেন, “মনে আছে, আব্বাস ভাই (সুশান্তের বন্ধু) আমায় ব্যাগ গোছাতে বলে ২০১৯-এর জানুয়ারিতে। ২১ জানুয়ারি সুশান্ত স্যরের জন্মদিন। ঠিক হয় আমরা সবাই দমন বেড়াতে যাব। কিন্তু দমনে কোনও হোটেল পাওয়া গেল না। আর প্ল্যানটাও ভেস্তে গেল।’’রইসের কথা থেকেই জানা গেল, ওই দমন ট্রিপে সুশান্তের সঙ্গী হতেন সারাও। এমনকি, ওই ট্রিপেই নাকি সারাকে প্রপোজ করার প্ল্যানে ছিলেন সুশান্ত। সারার জন্য নাকি দামি উপহারও অর্ডার করেছিলেন সুশান্ত। বিয়ের প্রস্তাব? রইস জানান, “তা জানি না। তবে শুনেছিলেন স্যর ম্যামকে প্রপোজ করবেন। স্যরের বন্ধুরা বলাবলি করছিল।”
আরও পড়ুন- দেবীপক্ষে শিব-পাবর্তী নেতাজি-রানিমা, ‘অশুভনাশিনী’ শ্রাবন্তী
তারপর কী হল? “দমন ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যাওয়ার পর ঠিক হয় আমরা সবাই কেরল যাব। কিন্তু তা-ও ভেস্তে যায়। এর পর স্যরের জন্মদিন চলে যায়। সারা ম্যাম জানুয়ারি মাসে ফার্মহাউজ আসেন বেশ কয়েক বার। কিন্তু ফেব্রুয়ারি পড়তেই আর তাঁকে ফার্মহাউজে দেখতে পাই না”, বলে চলেন সুশান্তের নিরাপত্তারক্ষী।
রইস বলেন, “ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ জানতে পারি স্যরের সঙ্গে ম্যামের ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে। তবে কী কারণে ব্রেক আপ হল তা সত্যিই জানি না।” রইসের কথা থেকেই জানা যায়, এ বছর মার্চে নাকি রিয়ার সঙ্গে ফার্মহাউজ শিফট করার কথা ভাবছিলেন সুশান্ত। কিন্তএর পরেই লকডাউন, করোনা। তা আর হয়নি। “অপেক্ষা করছিলাম স্যরের জন্য। উনি তো শুধু বস ছিলেন না আমাদের। একসঙ্গে ক্রিকেট খেলতাম, গল্প করতাম...আর কিছুই হবে না”, গলা ধরে আসে রইসের।