জানুয়ারি মাসেই মুক্তি পাচ্ছে শাহিদ কপূরের নতুন ছবি ‘দেবা’। ছবি: সংগৃহীত
সেটা ২০১৪ সাল, বড় পর্দায় শাহিদ কপূরকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন দর্শক। কারণ, তখনও অভিনেতার মিষ্টি চেহারাটাই দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন সকলে। ২০০৬ সালে ‘বিবাহ’ এবং ২০০৭ সালের ‘জব উই মেট’ ছবিতে এমন ‘চকোলেট বয়’ হিসাবেই ধরা দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বিশাল ভরদ্বাজ কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটে নতুন করে নির্মাণ করলেন উইলিয়ম শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’। আর সেখানেই ১৯৯৫ সালের কাশ্মীরি প্রেক্ষাপট, ব্যক্তিগত সম্পর্ক, অন্তর্ঘাত, প্রেম আর প্রতিহিংসার জাল ছড়়িয়ে পড়ল। নতুন এক অবতারে ধরা দিলেন অভিনেতা শাহিদ। সম্প্রতি এ ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহিদ স্পষ্টই জানিয়ে দেন, আর এমন ছবি তৈরি করা সম্ভব নয়।
এই মুহূর্তে শাহিদ ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি ‘দেবা’-র প্রচারে। রোশন অ্যান্ড্রুজ় পরিচালিত এ ছবিতে শাহিদের সঙ্গেই অভিনয় করছেন পাভেল গুলাটি ও পূজা হেগড়ে। আগামী ৩১ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে শাহিদকে প্রশ্ন করা হয় ‘হায়দর’-এর একটি বিশেষ দৃশ্য প্রসঙ্গে। ওই দৃশ্যে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছে শাহিদ অভিনীত চরিত্রটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। প্রশংসিত হয়েছিলেন শাহিদ। এই দৃশ্যটি প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, “আমার থেকে অনেক দূরে ক্যামেরা ছিল। অনেকটা জায়গা আমাকে দেওয়া হয়েছিল, কান্নার দৃশ্যে আমি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে চাইনি। আমাকে বলা হয়েছিল কবরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, তার পর আমি বসে পড়তে পারি। কিন্তু আমি জানিই না আমি কী করেছিলাম। আমার হাতগুলো অবশ হয়েছিল, হয়তো তার আগে বরফ ঘেঁটেছিলাম বলেই। কিন্তু আমার কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে বিশাল স্যর এসে আমাকে ডেকে বললেন খানিক ক্ষণ আগে শট শেষ হয়ে গিয়েছে।”
বলিউডি ছবির জগতে ‘হায়দর’ একটি বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করার মতো একটি ছবি। কিন্তু তা মুক্তি পেয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কি আর এক বার এমন একটি ছবি করা সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে শাহিদ সাফ বলেন, “না, আমরা এখন আর কোনও বিতর্কিত বিষয়ে ছবি করতে পারি না।” যদিও এর বেশি কোনও কথা বলেননি শাহিদ।