নিজেদের বিয়েকে কী ভাবে সাজবেন জাহ্নবী, খুশি কপূর? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তাঁদের মা-ও সুখী সংসারের স্বপ্ন দেখতেন। বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার শুটিংয়ের অবসরে, প্যাক আপের পর স্বামী-কন্যার দেখভাল করতেন। সেই স্বপ্ন তাঁর দুই কন্যার চোখেও। জাহ্নবী কপূর, খুশি কপূর। বনি কপূর-শ্রীদেবীর দুই সন্তান সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে নিয়ে নানা অনুভূতি ভাগ করে নিলেন।
বলিউডের বাতাসে সানাইয়ের সুর। একের পর এক অভিনেতা বিয়ের পিঁড়িতে। এমন পরিস্থিতিতে জাহ্নবী-খুশিও তাঁদের স্বপ্নের কথা গোপন রাখতে পারেননি। এমনিতেই শিখর পাহাড়িয়া আর বেদাঙ্গ রায়না নাকি যথাক্রমে জাহ্নবী আর খুশির চর্চিত প্রেমিক। উভয়েই কপূর পরিবার ঘনিষ্ঠ, বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ বার কি তাঁদের সঙ্গেই মালাবদল সারতে চলেছেন তাঁরা? গাঁটছড়ার গল্প ছড়াতেই প্রশ্ন উঠেছে বলিউডে।
সে বিষয়ে অবশ্য মুখ বন্ধই রেখেছেন দুই বোন। বদলে জাহ্নবী জানিয়েছেন, তিরুপতি মন্দিরে বিয়ের ইচ্ছে তাঁর। জুঁইয়ের মালা জড়াবেন খোঁপায়। দক্ষিণী সংস্কৃতি মেনে বিয়ের পোশাকে সাজবেন। সাত পাক ঘোরার পর কলাপাতায় পরিবারের সকলকে খেতে দেবেন— স্বপ্ন তাঁর। খুশি অবশ্য দিদির বিপরীতে মেরুর বাসিন্দা। বিয়ের ক্ষেত্রে উল্টো পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর বিয়েতে থিম থাকবে। বলিউডের এই প্রজন্মের অভিনেতারা শহরের বাইরে, দূরে জাঁকজমক করে বিয়ে করা পছন্দ করছেন। যেমন, কিয়ারা আডবাণী, পুলকিত সম্রাট প্রমুখ। খুশিও সম্ভবত তেমন কিছুই করবেন।
তবে তিনিও মায়ের মতো দুই সন্তানের স্বপ্ন দেখেন। বাড়িতে থাকবে একাধিক পোষ্য সারমেয়। খুশি বাবার কোলঘেঁষা। বিয়ে করে বনিকে ছেড়ে বেশি দূরে থাকতে পারবেন না। তাই যে বহুতলে বনির বাস, সেই বহুতলেই ফ্ল্যাট নেবেন।