শাহরুখ খান ও আরিয়ান খান। ছবি: সংগৃহীত।
দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও চর্চায় আরিয়ান খান মাদককাণ্ড। তবে এখন চর্চার কেন্দ্রে আরিয়ান নিজে নন, বরং ওই মামলার তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিক, প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। সমীরের বিরুদ্ধে শাহরুখ খানের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। সেই সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে শাহরুখ খানের সঙ্গে নিজের কথোপকথন প্রকাশ করেন প্রাক্তন এনসিবি কর্তা। আরিয়ান হেফাজতে থাকার সময়ই নাকি শাহরুখের সঙ্গে ওই কথোপকথন হয়েছিল তাঁর, দাবি ওয়াংখেড়ের। সমীর এই তথ্য প্রকাশ করার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় চাপান-উতোর। নিজেরই প্রাক্তন সংস্থা নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তথা এনসিবির রোষের মুখেও পড়েন ওয়াংখেড়ে। এ বার খবর, সেই মামলাতেই ডাক পড়তে পারে শাহরুখ ও আরিয়ানের। জবানবন্দি রেকর্ড করতে ডাকা হতে পারে তাঁদের।২০২১ সালে কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে মাদক পাচারের খবর পেয়ে অভিযান চালায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকেই মাদক পাচারের অভিযোগে পাকড়াও করা হয় আরিয়ান খানকে। এই অভিযানের নেপথ্যে ছিল যে দল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রাক্তন এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়ে।
সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সেই বিশেষ তদন্তকারী দলই। এনসিবির এক অভিজ্ঞ আধিকারিকের দাবি, মামলার তদন্ত চলাকালীন সমীর শাহরুখের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কথা ঘুণাক্ষরেও জানাননি তাঁর দলকে। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা তো নিয়মবিরুদ্ধ বটেই। সেই কথোপকথন বিষয়ে তদন্তকারী দলকে না জানানো আরও গুরুতর নিয়মভঙ্গের আওতায় পড়ে বলে দাবি এনসিবি আধিরকারিকের। এই ভিত্তিতে সমীরকে ফের প্রশ্ন করা হতে পারে বলেও আভাস দেন এনসিবির ওই আধিকারিক।প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর শাহরুখের সঙ্গে কথোপকথনের দাবি করলেও যে ফোন থেকে চলত এই কথোপকথন, তা তিনি আদালতে জমা দিতে পারেননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে এও অভিযোগ যে, যে আধিকারিককে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাঁকেও নাকি বার বার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ওয়াংখেড়ে।