কর্ণ জোহর। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা ব্যক্তিত্ব তিনি। বিনোদন জগতে তাঁর অবদান নিয়ে প্রশ্ন করবেন না তাঁর সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীও। চলতি বছর বিনোদন জগতে ২৫তম বর্ষপূর্তি তাঁর। জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মাইলফলকের বছরেই কর্ণ জোহরের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। বিশ্ব বিনোদনে তাঁর অবদানের কথা মনে রেখে তাঁকে সম্মানিত করল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।
২০ জন লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সব সদস্যের উপস্থিতিতে পার্লামেন্টে সম্মানিত হলেন কর্ণ। সমাজমাধ্যমের পাতায় সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেই ছবিও। কালো পোশাক ও কালো ফ্রেমের চশমায় সেজেছিলেন কর্ণ। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে সাম্মানিক নিয়ে তোলা ছবি ইনস্টাগ্রামের পাতায় শেয়ার করে কর্ণ লেখেন, ‘‘আজকের দিনটা ভীষণ স্পেশাল! আমি সৌভাগ্যবান ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ।
বিনোদনের জগতে আমার ২৫তম বর্ষপূর্তিতে এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। পাশাপাশি, ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবির প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়া নিয়েও আমি খুব খুশি।’’ কর্ণ আরও লেখেন, ‘‘এ রকম দিন জীবনে এলে মনে হয়, সত্যিই স্বপ্নপূরণ হয়। আপনারা যাঁরা আমাকে এত দিন ধরে নিজের ভালবাসা ও শুভকামনায় ভরিয়েছেন, তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের মনোরঞ্জন করতে থাকব।’’
বলিউডে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে। তার পর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘কভি অলবিদা না কেহনা’-র মতো ছবি পরিচালনা করে বলিউডে নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছেন কর্ণ। পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনাতেও হাত পাকিয়েছেন তিনি। প্রযোজনা করেছেন ‘দোস্তানা’, ‘ডিয়ার জ়িন্দেগি’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র মতো ছবিও।
ব্রিটেনেই ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘মাই নেম ইজ় খান’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর মতো একাধিক হিট ছবির শুটিং করেছেন কর্ণ। ব্রিটেনের সঙ্গে তাঁর যোগ যে আত্মিক, এ কথাও একাধিক বার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সিনেনির্মাতা। সেই দেশেই সম্মানিত হতে পারা তাঁর কাছে বিশাল বড় পাওনা, স্বীকারোক্তি কর্ণের। কর্ণের এই সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনিল কপূর, সোনি রাজ়দান, টাইগার শ্রফ, জ়োয়া আখতারের মতো বলিউড শিল্পীরাও।