তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং সম্প্রীতি পোদ্দার।
সাংসদ-তারকা মিমি চক্রবর্তীকে জাল প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। সেই কাণ্ডে জড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার নাম। প্রতিষেধক নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত। শনিবার ভোর থেকে মিমি-র অসুস্থতার খবর ছড়াতেই সেই দ্বিধা যেন ভীতির রূপ নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ বার কি তারকারাও প্রতিষেধক নেওয়ার আগে দু'বার ভাববেন?
দিন দুই আগেই পার্ক সার্কাসের কাছে আয়োজিত এক বেসরকারি প্রতিষেধক কর্মসূচি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। সেই ছবি তিনি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন। শিবির সম্পর্কে অভিনেত্রীর বক্তব্য, শিবিরে ৪০ জন অটিজম রোগী প্রতিষেধক নিয়েছেন। যদিও তনুশ্রী এই শিবির থেকে প্রতিষেধক নেননি। মিমি-র ঘটনার প্রায় সমসময়ে এ রকম একটি বেসরকারি শিবিরে যোগ দান করার আগে কোনও দ্বিধা তৈরি হয়নি?
আনন্দবাজার অনলাইনকে তনুশ্রী জানিয়েছেন, তিনি যোগদানের আগে জেনে নিয়েছিলেন কোন হাসপাতালের সঙ্গে শিবিরটি যুক্ত। সেই তথ্য তাঁকে সন্তুষ্ট করার পরেই তিনি সেই শিবিরে গিয়েছেন। এও জানিয়েছেন, বেসরকারি শিবির থেকে প্রতিষেধক নেওয়ার আগে সবারই জেনে নেওয়া উচিত এই তথ্য। তা হলেই সবাই নিরাপদে থাকবেন।
যাবতীয় ভয় উড়িয়ে শনিবার কো-ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় টিকা নিলেন ‘ফিরকি’ খ্যাত সম্প্রীতি পোদ্দারও। সবাই যখন কোভিশিল্ড নিচ্ছেন তিনি কেন কো-ভ্যাক্সিন বেছে নিলেন? সম্প্রীতি জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই মুহূর্তে কো-ভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, কো-ভ্যাক্সিনের দুটো টিকার মধ্যে ব্যবধান কম। তাই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই প্রতিষেধক বেছে নিলাম।"
একই সঙ্গে সম্প্রীতির দাবি, অতিমারি ভারতে আছড়ে পড়ার পর থেকেই বহু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষেধক নিয়েও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মিমির সঙ্গে ঘটা ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। তবে এই ঘটনা মাথায় ধরে রেখে প্রতিষেধক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বোকামি। কারণ, ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউ পৌঁছে গিয়েছে। তার সঙ্গে লড়ার এক মাত্র হাতিয়ার প্রতিষেধক।