মিমি এবং অনিন্দ্যর বন্ধুত্বের সূচনা ‘বাপি বাড়ি যা’ ছবি থেকে।
শনিবার ভোর থেকে পেটে যন্ত্রণায় ভুগছেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। একই সঙ্গে তাঁর রক্তচাপ নেমে গিয়েছে এবং শরীরে দেখা দিয়েছে জলের অভাব। বন্ধুর আকস্মিক অসুস্থতা কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে।
মিমির অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, কসবার ভুয়ো শিবিরে ভুয়ো টিকা নেওয়ার ফলেই এই সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল? আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে অনিন্দ্যকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রের খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরে মিমির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর। অভিনেত্রীর স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছিলেন তিনি। তবে এ বার বাড়াবাড়ি হওয়ায় মিমিকে দেখতে যেতে পারেন অনিন্দ্য।
২০১২ সালে অভিজিৎ গুহ এবং সুদেষ্ণা রায় পরিচালিত ‘বাপি বাড়ি যা’ ছবির মাধ্যমে একসঙ্গে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দু’জন। সেই থেকেই বন্ধুত্বের সূচনা। সময়ের সঙ্গে পর্দার বাইরেও একে অপরকে চিনেছেন তাঁরা। তাই চিন্তার আস্তরণ সরিয়ে অনিন্দ্য নিশ্চিত, এই ঘটনা মিমির মনোবল ভাঙতে পারবে না। তাঁর কথায়, “মিমি খুব সাহসী মেয়ে। ওকে নিয়ে আমি ভয় পাচ্ছি না। ও যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভয় পায় না তার অজস্র প্রমাণ আছে।” অতীতের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে অনিন্দ্য বলেন, “আজ থেকে ৬ বছর আগে একজন অপরাধী একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই চালককেও মিমি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।”
ইতিমধ্যেই কসবা ভুয়ো টিকা শিবিরের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত। উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। অনিন্দ্যর আশা, খুব শীঘ্রই এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলে উপযুক্ত শাস্তি পাবে। সাংসদ-অভিনেত্রীর ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র ফাঁস করার প্রসঙ্গে তিনি বললেন “আমার কাছে এটাই মিমি। আমি খুশি যে ওর জন্য সত্যিটা সকলের সামনে এসেছে। ও সাহস করে এটা না করলে হয়তো আরও প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতেন।”