প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শুক্রবার রাতেই চন্দননগর হাসপাতালের সামনে জুবুথুবু হয়ে বসেছিলেন এক বৃদ্ধ। ঠান্ডায় রীতিমতো কাঁপছিলেন। শনিবার সকালে সেই জায়গাতেই অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে ওই বৃদ্ধ? মৃত্যুর কারণ কী? তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার কেউই বৃদ্ধের পরিচয় জানেন না।
শনিবার সকালে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের সামনে ওই অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় বৃদ্ধকে দেখতে পান অনেকেই। শনিবার হাসপাতালের কাছের এক দোকানের সামনে বসে ছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাঁকে দোকানের সামনে থেকে সরে বসতে বলা হয়। কিন্তু এক জায়গা থেকে সরে অন্য জায়গায় বসার ক্ষমতা ছিল না ওই বৃদ্ধের।
স্থানীয়দের দাবি, হাসপাতালের আশপাশেই শুক্রবার থেকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল ওই বৃদ্ধকে। শনিবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেওয়া হয় চন্দননগর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রাথমিক অনুমান, ঠান্ডার কারণেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই বৃদ্ধের। তবে মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। দেহ মনাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বৃদ্ধের পরিচয় জন্য খোঁজ শুরু করেছে।