সামান্থা রুথ প্রভু। ছবি-সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তারই ফলে এবার এক চিকিৎসকের রোষের মুখে পড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যার জন্য হাইড্রোজেন প্রি-অক্সাইড নেবুলাইজ়েশন ব্যবহারের নিদান দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমে নেবুলাইজ়ার মাস্ক পরে একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি সুলভ ও কার্যকরী।
কিন্তু চিকিৎসক সিরিয়াক অ্যাবি ফিলিপস বলেছেন এই পদ্ধতি শরীরে কুপ্রভাব ফেলতে পারে। সিরিয়াকের দাবি, সামান্থাকে স্বাস্থ্য বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ভাবে প্রকাশ্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া রীতিমতো অপরাধ। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন ওই চিকিৎসক।
চিকিৎসকের কটাক্ষের পাল্টা হিসেবে সমাজমাধ্যমে লম্বা পোস্টে সামান্থা লেখেন, “গত কয়েক বছরে নানা রকমের ওষুধ খেয়েছি। আমায় যা যা করতে বলা হয়েছে, সব করেছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি এবং নিজেও যতটা সম্ভব গবেষণা করে দেখেছি।” অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, তাঁকে যে চিকিৎসার পরামর্শ প্রথমে দেওয়া হয়েছিল সে গুলি বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই বিকল্প হিসেবে এই নতুন পদ্ধতির চিকিৎসার সাহায্য নিয়েছেন তিনি। তবে এই নতুন পদ্ধতির চিকিৎসাও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই তিনি করেছেন বলে জানান।
আত্মপক্ষ সমর্পণ করে সামান্থা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “দিনের শেষে আমরা শিক্ষিত চিকিৎসকদেরই পরামর্শ নিই। এই নতুন পদ্ধতির চিকিৎসার পরামর্শ আমায় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকই দিয়েছিলেন। ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর।”
সিরিয়াকের নাম না করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এক ভদ্রলোক খুব কড়া ভাষায় আমায় আক্রমণ করেছেন। তিনিও একজন চিকিৎসক। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে তিনি আমার থেকে অনেক বেশি জানেন। তাঁর উদ্দেশ্যও সৎ, এই নিয়েও আমার কোনও দ্বিধা নেই। কিন্তু এই ধরনের শব্দ তিনি ব্যবহার না করলেও পারতেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন যে আমায় জেলের ভিতর ছুড়ে ফেলা উচিত। মেনে নিলাম, একজন সেলেব্রিটি বলে এটুকু শুনতে হতেই পারে।”
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, “আমি এক জন সাধারণ মানুষ হিসেবে পোস্টটা করেছি। কোনও সেলেব্রিটি হিসেবে নয়। এই পোস্টটি করে কিন্তু আমি কোনও টাকা পাইনি। নিজে যে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি,সেটা অন্যদের জন্য তুলে ধরেছি মাত্র কারণ এই পদ্ধতি তেমন খরচসাপেক্ষ নয়।”
সামান্থার কথায়, অভিযোগকারী চিকিৎসক যদি তাঁর চিকিৎসকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতেন তা হলে ভাল হত।