Dipankar De Birthday

‘যত দিন বাঁচব, এই দিনটা ওঁর সঙ্গে যেন উদ্‌যাপন করতে পারি’, দীপঙ্কর দে-র জন্মদিনে দোলন রায়

একবার মনে আছে ওঁর জন্মদিন পড়েছিল রথযাত্রার দিন। সেই বার আমরা পুরী বেড়াতে গিয়েছিলাম।

Advertisement

দোলন রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৮
Share:

দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে। ছবি-সংগৃহীত।

আজ ওঁর জন্মদিন। এই দিনটায় সাধারণত আমরা কলকাতায় থাকি না। জন্মদিন মানেই আমাদের বেড়াতে যাওয়ার অজুহাত। কিন্তু এ বার আর সেটা হল না। এমনও হয়েছে, জন্মদিনে আমরা সুইৎজ়ারল্যান্ড চলে গিয়েছি। ব্যাঙ্কক বা স্কটল্যান্ডে গিয়ে জন্মদিন পালন করেছি। জন্মদিনটা ঘিরেই আমরা প্রতি বছর বেড়ানোর পরিকল্পনা করি। কিন্তু এ বার আমাদের দু’জনেরই শুটিং আছে। কেউই আমরা ছুটি নিতে পারিনি।

Advertisement

একবার মনে আছে ওঁর জন্মদিন পড়েছিল রথযাত্রার দিন। সেই বার আমরা পুরী বেড়াতে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া বেনারসও ওঁর খুব প্রিয় জায়গা। কিন্তু কলকাতায় থাকলে সেই ভাবে কোনও উদ্‌যাপন হয় না। কলকাতায় থাকলে জন্মদিনের বিকেলটা আমরা কাটাই একটি অনাথ আশ্রমে। ওখানকার বাচ্চাদের একটু খাওয়াদাওয়া করাতে চান।

আজ সকালে ওঁকে একটু লুচি আর পায়েস করে দিয়েছিলাম। খুব ভালবাসেন খেতে। রাতেও শুটিং থেকে ফিরে কিছু একটা রান্না করব। পাঁঠার মাংস খেতে সবচেয়ে ভালবাসেন। কিন্তু আজ সেটা করছি না। তবে পোলাও রান্না করব ভেবেছি। মাঝেমধ্যে আমাদের বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও ওঁর জন্মদিন পালন হয়েছে। এক বার লন্ডনে এক বন্ধুর হোটেলে বড় করে উদ্‌যাপন করা হয়েছিল। এই দিনটা বাড়িতে সেই ভাবে থাকা হয় না। এ বারই ব্যতিক্রম। এ বছরের জন্মদিনের বেড়ানোটা আমরা তুলে রেখেছি। সময় মতো ঘুরে আসব।

Advertisement

তবে জন্মদিনে ‘সারপ্রাইজ়’ পেতে খুব ভালবাসেন উনি। আমার এখনও মনে আছে, আমার সঙ্গে ওঁর প্রথম জন্মদিনের কথা। সে দিন আমি একটা ‘সারপ্রাইজ়’ দিয়েছিলাম। তবে এর জন্য বেশ কিছু দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। ওঁর লেখা বেশ কিছু কবিতা ছিল। ওঁর আড়ালে রঞ্জনদার (রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়) সাহায্য নিয়ে সেই কবিতার সংকলন করে প্রকাশ করেছিলাম। প্রথম বার সেই বই-ই ওঁকে উপহার দিয়েছিলাম। সত্যিই চমকে গিয়েছিলেন। বইটার নাম ছিল ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’।

আর এক বার ওঁকে একটা সেতার উপহার দিয়েছিলাম। উপহার পেতে খুব ভালবাসেন। বিশেষ করে বই, কলম—এ সব খুব পছন্দ। কিন্তু কিছু দিন আগে একটা নতুন গাড়ি কিনেছেন। তাই এ বছর গাড়িতে ব্যবহার করা যায় এমন একটা উপহার দিচ্ছি। ওঁর ভাল লাগাটাই আমার কাছে সব থেকে বড় বিষয়। ওঁর জন্মদিনে আমি একটা জিনিসই চাই, আমি যত দিন বেঁচে আছি, তত দিন যেন ওঁকে নিয়ে ওঁর জন্মদিন পালন করতে পারি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement