সলমন
ছবির শুটিং ও রিলিজ় পিছিয়ে গেলেও এ বছর রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’ হবে বলেই শোনা যাচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, গত কয়েক বছরে সলমন খানের জনপ্রিয়তার একটি প্রধান স্তম্ভ এই শো। সেলেব প্রতিযোগী, অনামী প্রতিযোগী বা সাজানো ঝগড়া...সপ্তাহান্তে ছোট পর্দায় সলমনের দর্শন ও তাঁর টিপ্পনীর সঙ্গে এদের কোনওটারই তুলনা চলে না। তাই শোয়ের জনপ্রিয়তার সঙ্গে নিক্তি মেপে বড় দরও হাঁকেন ভাইজান। কিন্তু করোনার কোপে পারিশ্রমিক কমাতে বাধ্য হচ্ছেন সলমন। তেমনটাই খবর শোনা যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে।
গত বছর ‘বিগ বস সিজ়ন থার্টিন’-এর জন্য সলমন নাকি সপ্তাহ পিছু ১৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। একই দিনে তিনি দু’টি এপিসোডের শুট করেছিলেন। সে দিক থেকে এপিসোড প্রতি সাড়ে ছয় কোটি টাকা হেঁকেছিলেন সলমন। তবে এ বার করোনার ফলে ব্যবসায় মন্দার জন্য সংশ্লিষ্ট চ্যানেল সলমনের কাছে পারিশ্রমিক কমানোর আবেদন রেখেছে। শোনা যাচ্ছে, এ বারে ভাইজান সপ্তাহ পিছু পারিশ্রমিক নেবেন ন’কোটি টাকা। দু’তিনটি সিজ়ন আগে এই অঙ্কের কাছাকাছি পারিশ্রমিক পেতেন সলমন।
অতিমারির কারণে শোয়ের ফরম্যাটেও অনেক পরিবর্তন আসছে বলে খবর। বাজেট কমাতে হচ্ছে নির্মাতাদের। তাই এ বার শোয়ে চার-পাঁচ জন সেলেব থাকবেন। বাকি প্রতিযোগীরা থাকবেন আমজনতার মধ্য থেকেই। গত কয়েকটি সিজ়নে একজন করে সাধারণ প্রতিযোগী রাখা হত।
এ বারের শোয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি। শোনা যাচ্ছে, হাউসের ভিতরে থাকাকালীন যে টাস্ক দেওয়া হয়, সেখানেও গুরুত্ব পাবে হাইজিন বজায় রাখা। প্রতিযোগীদের চুক্তিপত্র নাকি তেমন ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। হাইজিন মানার ক্ষেত্রে আপস করলে কোপ পড়তে পারে পারিশ্রমিকেও।
সাধারণত পনেরো সপ্তাহ বিগ বস’-এর হাউসে থাকতে হয় প্রতিযোগীদের। কিন্তু অতিমারির কারণে সে মেয়াদ কমতে পারে।