লীলাবতী হাসপাতালে বাবা সিদ্দিকির কাছে সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগেও টের পাননি, শিয়রে শমন! সমাজমাধ্যমে সকলকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেই দশমীর রাতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি নিহত হন আততায়ীর গুলিতে। এ খবর শোনার পরই ‘বিগ বস্ ১৮’-র শুটিং বন্ধ করে লীলাবতী হাসপাতালের পথে রওনা দেন সলমন খান। কিন্তু এ সময় তাঁর পক্ষে হাসপাতালে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তোলা হয়। সলমনের মাথার উপরেও মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে। শোনা যাচ্ছে, এই ভাবে বাবা সিদ্দিকির উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলিউডে। কারণ, রবিবার সকালে সিদ্দিকি খুনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। যে দু’জন ধৃত, তাঁরা স্বীকার করেছেন তাঁরা বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য। লরেন্স বিশ্নোই লাগাতার সলমনকে খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে তাই ভাইজানের পরিবারও অস্বস্তিতে। নিহত নেতা সলমনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
প্রতি বছর ইফতারে জমকালো পার্টি দিতেন বাবা সিদ্দিকি। সেখানে দেখা মিলত বলিউডের তাবড় তারকার। কলকাতা থেকে উড়ে যেতেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এই পার্টিতেই নিহত নেতা সলমন-শাহরুখ খানের মনোমালিন্য মিটিয়েছিলেন বলে খবর। সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে সলমন তাঁর দেওয়া ইফতারের সমস্ত পার্টিতে যোগ দিতেন। তাই বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বিচলিত হবেন, স্বাভাবিক। সেই জায়গা থেকেই তিনি শোকের খবর শুনে রিয়্যালিটি শো-এর শুটিং মাঝপথে বন্ধ করে দেন।
গুলিবিদ্ধ নেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পৌঁছনোর জন্য তড়িঘড়ি রওনা দেন সলমন। খবর, আন্দাজ রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সলমন ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, সপরিবার শিল্পা শেট্টি-সহ বলিউডের তারকারা। সংবাদমাধ্যমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, শিল্পা হাসপাতালের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।