Saif Ali Khan Attack case

সইফ-কাণ্ড: ধৃত শরিফুলের চাকরি গিয়েছিল চুরির অভিযোগেই, এ বার কাজ গেল সহকর্মীদেরও

রবিবার ভোরে শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ গ্রেফতার হওয়ার আগেই শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল অন্য বেশ কিছু মানুষের জীবনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪১
Share:

সইফ আলি খান। —ফাইল চিত্র।

বলিউড তারকা সইফ আলি খানের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বই এবং মুম্বই সংলগ্ন সমস্ত এলাকায় চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এ দিকে রবিবার ভোরে শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ গ্রেফতার হওয়ার আগেই শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল অন্য বেশ কিছু মানুষের জীবনে।

Advertisement

মুম্বই পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে মুম্বইয়ের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। তারই মধ্যে ওরলি এবং ঠাণে এলাকার দু’টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলের কথা জানতে পারে পুলিশ। শনিবারই সেখানে হানা দেয় তারা। তার পরই ওই দু’টি রেস্তরাঁ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের পুরনো সমস্ত সাফাইকর্মীকে।

জানা গিয়েছে, ওরলি এলাকার রেস্তরাঁটিতে চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে গত অগস্ট মাসে চাকরিও গিয়েছিল তাঁর।

Advertisement

ওরলির ওই রেস্তরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তাঁরা কর্মী ভাড়া করে থাকেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করেছেন। কারণ তাঁরা জানতে পেরেছেন চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাঁকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে। আর তার পরই ওই ঠিকাদারের আওতাধীন অন্য সমস্ত সাফাইকর্মীকে সরিয়ে দেন তারা। রেস্তরাঁ ম্যানেজার বলেন, “আমরা সাধারণত কোনও ঠিকাদারের কাছ থেকেই কর্মী ভাড়া করে থাকি। ফলে কর্মীদের সততা এবং বিশ্বস্ততার দিকটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ঠিকাদারেরই। পুলিশের তদন্ত শুরু হওয়ার পর গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছে। আমরা ওই ঠিকাদারকেও সরিয়ে দিয়েছি।”

যদিও ঠাণে এলাকার হোটেলটিতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করেছিলেন শরিফুল। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি, জানিয়েছেন সেই হোটেলের ম্যানেজার। নিয়মমাফিক কর্মী বদলে থাকেন ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ। তার জেরেই ডিসেম্বরে কাজ হারাতে হয় শরিফুলকে। তার পর থেকে আর কোনও দিন ওই হোটেলে দেখা যায়নি তাঁকে। জানা গিয়েছে, এই দুই হোটেলেই নিজেকে ‘বিজয় দাস’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন শরিফুল।

রবিবার ভোরে ঠাণে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ শেরানি দাবি করেন, তাঁর মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো কোনও অভিযোগও পুলিশ আনতে পারেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement