Saif Ali Khan Attacked

সইফ-কাণ্ড: ধৃত আদৌ বাংলাদেশি! ‘প্রমাণ নেই’, আদালতে বললেন শরিফুল ইসলামের আইনজীবী

হত্যার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না, জানালেন শরিফুলের আইনজীবী। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে মূল অভিযুক্তের পরিবার সম্পর্কে আর কী বললেন তাঁর আইনজীবী সন্দীপ শেখানি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৯
Share:

সইফ আলি খান ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনায় শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তিনি বাংলাদেশি নন বলে দাবি তাঁর আইনজীবীর। ছবি: সংগৃহীত

ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ কি আদৌ বাংলাদেশি! আদালতে প্রশ্ন তুললেন সইফ আলি খানের উপর হামলায় অভিযুক্তের আইনজীবী। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। তাঁর মক্কেল ওই এলাকায় গত সাত বছর ধরে রয়েছেন বলেও দাবি করেন।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সইফ। ছুরির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার তিন দিন পর, রবিবার ভোরে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা।

কিন্তু এ দিন বান্দ্রা আদালতে ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে তোলা হলে, তাঁর আইনজীবী সন্দীপ শেখানে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। গত সাত বছর ধরে সপরিবার শরিফুল মুম্বই এলাকায় বাস করছেন বলেও দাবি করেন সন্দীপ। এর আগে ঠাণের হিরনন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে শরিফুলকে গ্রেফতারের পর মুম্বই পুলিশের ডিসিপি (অপরাধ দমন) দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছিলেন, ধৃতের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে এই এলাকায় থাকছিলেন এবং বিভিন্ন হোটেলে কাজ করছিলেন।

Advertisement

বান্দ্রা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁর আইনজীবী বলেন, “আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে এই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশও দিয়েছে। পুলিশের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যা থেকে প্রমাণ হয় শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। তা ছাড়া, উনি গত পাঁচ মাস এই এলাকায় থাকছিলেন, এ তথ্যেরও সত্যতা নেই। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করাই হয়নি, এতে ৪৩ এ ধারা ভঙ্গ হচ্ছে।”

সন্দীপের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে নোটিস জারি করা হয়নি। তিনি বলেন, “আদতে হত্যার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না। এফআইআর বা রিমান্ড কপিতে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকির মতো কোনও শব্দের উল্লেখ করা নেই। অথচ, সরাসরি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল।” একা সন্দীপ নন, শরিফুলের আর এক আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি দাবি করেন, গত সাত বছর ধরে তিনি সপরিবার মুম্বই এলাকায় বাস করছেন। তিনি দাবি করেন, “আমার মক্কেলের কাছে থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশি হওয়ার কোনও তথ্যও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ।”

কিন্তু আদালতে কেন শরিফুলের পরিবারের কাউকে দেখা গেল না? এ প্রশ্নের উত্তরে তাঁর আইনজীবীরা বলেন, “চাপের মুখে তাঁরা এখানে আসতে পারেননি। অবশ্যই আসবেন, যখন প্রয়োজন হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement