পর্দায় এবং বাইরে বাস্তবে তাঁর জীবন বর্ণময়। কিন্তু একটি বিষয় থেকে কোনওদিন সরে দাঁড়াননি নানা পটেকর।
সেই বিষয় হল, তিনি কোনওদিন সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেননি। এই নীতি তিনি বরাবর অনুসরণ করেছেন অভিনেতাজীবনে।
শুধু ছবির সংলাপেই নয়। তার বাইরেও নানা পটেকর বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অংশ হয়ে উঠেছেন।
বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছেন ঋণগ্রস্ত কৃষকদের। কিন্তু সবসময়েই নিজের কাজ নিয়ে প্রচারবিমুখ থেকেছেন।
নিজের ছবি নিয়েও নানা বেশি কথা বলতে চান না। সাক্ষাৎকারেও নিজের কাজ নিয়ে ঢাক পেটানো তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ।
বিভিন্ন জাতীয় সঙ্কটে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন নানা। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণকাণ্ডে তিনি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছিলেন।
এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন নানার এক ভাই। তিনি ওরলিতে গিয়েছিলেন কাজে। আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। সেখানেই লুটিয়ে পড়েছিলেন বিস্ফোরণে।
একই পরিণতি হতে পারত নানার স্ত্রীরও। কিন্তু একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ব্যক্তিগত ক্ষতির ঊর্ধ্বে এই বিস্ফোরণ স্পর্শ করেছিল নানা-কে।
পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে অভিনয় ভবিষ্যতেও করবেন না।
মুম্বই বিস্ফোরণকাণ্ডে সঞ্জয়ের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। পরে বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে টাডা আইনে তিনি গ্রেফতার হন।
সঞ্জয়ের এই ভাবমূর্তি নানা মেনে নিতে পারেননি। ফলে তাঁর সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সঞ্জয় যে মুম্বই বিস্ফোরণে সক্রিয়, সে অভিযোগ নানা করেননি। কিন্তু সেলেব্রিটি হয়ে তাঁর টাডা আইনে গ্রেফতার হওয়া মেনে নিতে পারেননি নানা পটেকর।
সাড়ে ৩ দশকের কেরিয়ারে এ ভাবেই সঞ্জয়কে এড়িয়ে গিয়েছেন নানা।
‘দশ কহানিয়াঁ’ ছবিতে নানা এবং সঞ্জয় দু’জনেই অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু দু’টি আলাদা গল্পে। একই দৃশ্যে দেখা যায়নি দুই তারকাকে।
সাড়ে ৩ দশকের কেরিয়ারে এ ভাবেই সঞ্জয়কে এড়িয়ে গিয়েছেন নানা।