ফাইল চিত্র।
ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র অনুরাগীদের জন্য বড় মোচড়। দিদি আর বোন দু’জনকেই বিয়ে করতে চলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অধ্যাপক অর্জুন। হোঁচট খাচ্ছেন? এটাই ঘোর বাস্তব। পর্দায় ‘সাজি’কে বিয়ে করছেন তিনি। বাস্তবে সাজির খুড়তুতো দিদি ‘চিনি’ ওরফে প্রিয়ঙ্কা মিত্রের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ‘অর্জুন’ সায়ন্ত মোদক! হাতেগরম প্রমাণ একাধিক। ইদানীং ইনস্টাগ্রামে তাঁরা যুগলে। যা আগে দেখাই যেত না। সুযোগ পেলেই রাতের কলকাতায় বাইক সওয়ারি! কখনও শুধু চোখে চোখ রেখেই দু’জনে দু’জনায় মুগ্ধ!
সত্যিই কি কিছু ঘটেছে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন করেছিল প্রিয়ঙ্কাকে। ‘চিনি’র মতোই লাজুক হেসে মিষ্টি জবাব এসেছে, ‘‘আপাতত ছবি দেখে যা মনে করার করুন সবাই। এখনও কিছু জানানোর মতো সময় আসেনি। এলে নিশ্চয়ই বলব।’’
টেলিপাড়া কি এই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়? সেখানে খবর, সায়ন্ত-প্রিয়ঙ্কার বন্ধুত্ব ২০১৮ সাল থেকে। তখনও তাঁরা সে ভাবেও পরিচিত নন অভিনয় দুনিয়ায়। চেনা-জানা ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে গড়ায়। তত দিনে একসঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিয়ো করে ফেলেছেন। কিন্তু তখনও প্রেম আসেনি!
তারও কারণ আছে। সায়ন্ত এর আগে ছোটপর্দার অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। যিনি ধারাবাহিক ‘সাঁঝের বাতি’র ‘চারু’ হিসেবে জনপ্রিয়। চার বছরের ভালবাসায় আচমকাই দাঁড়ি। এর পরেই নাম সায়ন্তর জড়িয়ে যায় অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। প্রিয়ঙ্কা কি তাই ‘বন্ধু’ হয়েই দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন? বাকি কথা সবিস্তার জানিয়েছেন ‘অর্জুন’ সায়ন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘শ্রীমার সঙ্গে এর আগে সান বাংলায় ধারাবাহিক ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’ করেছি। তার পরে একটি ব্লগ করি আমরা। তখন সদ্য প্রেম ভেঙেছে। সবাই শ্রীমার সঙ্গে আমায় জড়িয়ে দিল!’’ সায়ন্তের মতে, আদতে তাঁর ভাঙা মন জুড়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
তা হলে প্রকাশ্যে ‘ভালবাসি’ বলতে এত দ্বিধা কেন? সায়ন্তের সাবধানী জবাব, ‘‘ঘর পোড়া গরু তো! সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরাই। একবার ভালবেসে ব্যথা পেয়েছি। তাই দ্বিতীয় বার একই পথে হাঁটার আগে রাস্তাটাকে ভাল করে চিনে নিতে চাইছি।’’ এ দিকে টেলিপাড়া বলছে, সম্ভবত সামনের মাসেই শুভ খবর দিতে চলেছেন হবু মিঞা-বিবি।