নতুন রূপে সোনালী
২৪ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে জীবনে এসেছে অনেক পরিবর্তন । মা হয়েছেন অভিনেত্রী। সোনালী চৌধুরী। ‘বোধিসত্ত্বর বোধবুদ্ধি’র হাত ধরে ২বছর পর ছোটপর্দায় ফিরলেন অভিনেত্রী। ‘বডি শেমিং’ থেকে মাতৃত্বযাপন, আড্ডায় অভিনেত্রী।
প্রশ্ন: বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে এক শ্রেণির দর্শকের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। সেই ছোটপর্দার হাত ধরেই আবার ফিরছেন কেন?
সোনালী: ২০০৯ ‘অগ্নিপরীক্ষা’র কথা দিয়েই উত্তরটা শুরু করি। যে ধারাবাহিক চলেছিল টানা পাঁচ বছর । দর্শকের স্বাদ পরিবর্তন করেছিল সেই ধারাবাহিক।আশা করি সেই নতুন স্বাদ এ বারেও পাবেন দর্শক।
প্রশ্ন: নায়িকারা সাধারণত মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চান না। এই বয়সে ‘মা’-এর চরিত্রে হ্যাঁ বলার কারণ কী ?
সোনালী: হ্যাঁ, আগে ভাবতাম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করব না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটা অন্য ভাবনা কাজ করেছে।
প্রশ্ন: কী রকম?
সোনালী: আমার বাড়িতে একটি খুদে আছে। যার বয়স এক। আর এখানেও আমার দুই সন্তান। এক জনের বয়স ১০ আর অন্য জন ৬। তো ঘরে-বাইরে দু’দিকেই আমি বাচ্চা সামলাব। তাই এই পুরো সময়টাই আমি উপভোগ করতে চাই।
প্রশ্ন: সন্তান জন্মের পর শারীরিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আসে। প্রথম বার ক্যামেরার সামনে আসতে অস্বস্তি হয়নি?
সোনালী: হ্যাঁ হয়েছে। ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র জন্য প্রথম যখন ফোন পাই, তখন আমার ওজন ছিল ৭২ কেজি। প্রথম প্রথম যখন টেলিকাস্ট শুরু হয়, দর্শক অবলীলাক্রমে লিখেছেন— ‘সোনালী একটু রোগা হও’। কেউ বোঝেন না, আমার বাড়িতে এক সদ্যোজাত। যার এক বছরও বয়স নয়। নানা রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটা একমাত্র অভিনেত্রীরাই বুঝবে। একটা অপারেশন, সন্তানকে সময় দেওয়া, নিজের ওজন নিয়ে ভাবার মতো মানসিক অবস্থাই থাকে না।
প্রশ্ন : এই ১৮ মাসের বিরতিতে কখনও অবসাদ এসেছে? নিজের জায়গায় ফেরার জন্য অস্থির হয়েছেন?
সোনালী: এই সময় অনেকগুলো জিনিস আমার মাথায় কাজ করে। প্রথম প্রশ্ন, আমি না থাকলে আমার সন্তানের কোনও সমস্যা হবে না তো! এই ভাবনা থেকে আমি জিমে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারিনি। দ্বিতীয় ভাবনা হয়, আমি আবার আগের চেহারায় ফিরতে পারব তো? নিজের পুরনো জায়গা ফিরে পাব আদৌ! এই তিনটি লড়াই চলতে থাকে সব সময়।
প্রশ্ন: নতুন ধারাবাহিকে সোনালী-বিশ্বনাথ জুটি দেখছে দর্শক। এক সময়ে সোনালী-ভাস্বর জুটি ছিল হিট। ভাস্বরের সঙ্গে সেই বন্ধুত্বটা কি আছে ?
সোনালী: হ্যাঁ, অবশ্যই এখনও সেই বন্ধুত্বটা রয়েই গিয়েছে।
প্রশ্ন: ভাস্বরকে এখন তেমন ভাবে মুখ্য চরিত্রে দেখা যায় না। নিজেদের কাজ নিয়ে আলোচনা করেন?
সোনালী: আমাদের আলোচনা হয়। ও নেতিবাচক চরিত্র আজকাল বেশি করে। আমি এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম কী ভেবে চরিত্রটাকে হ্যাঁ করল। ওর উত্তর, এই ধরনের চরিত্র করতে ও ভালবাসে।
প্রশ্ন: আপনি কোনও দিন খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবেন?
সোনালী: না, খুব একটা ইচ্ছা নেই। মনের উপর খুব চাপ পড়ে। তবে জীবনে এক বার নেতিবাচক চরিত্রে নিশ্চয়ই অভিনয় করব।