Parambrata Praises Anasuya Sengupta And Payal

ওঁরা নিঃশব্দে ইতিহাস গড়লেন! অনসূয়া ও পায়েলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরমব্রত

প্রচারের আলো গায়ে না মেখেও যে শিখর ছোঁয়া যায়, অনসূয়া, পায়েল প্রমাণ করলেন, দাবি পরমব্রতের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১৫:৫৪
Share:

অনসূয়া, পায়েলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরমব্রত। নিজস্ব চিত্র।

অনসূয়া সেনগুপ্ত, পায়েল কাপাডিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসব মঞ্চে দুই ভারতীয় কন্যা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ‘দ্য শেমলেস’ ছবির জন্য অনসূয়া ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। অনসূয়ার পর পরিচালক পায়েল তাঁর ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ় লাইট’ সিনেমার জন্য গ্রাঁ প্রি পেলেন। দুই কন্যের কৃতিত্বে উচ্ছ্বাসে ভাসছে দেশ। অনসূয়াকে নিয়ে বাড়তি আবেগ কলকাতার। কারণ, তিনি এই শহরের মেয়ে। সাধারণ মানুষেরা তো বটেই, তারকারাও তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। যেমন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তাঁর সমাজমাধ্যমে জ্বলজ্বল করেছেন অনসূয়া, পায়েল। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমরা যখন অন্যদের নিয়ে ব্যস্ত তখন ওঁরা নিঃশব্দে ইতিহাস তৈরি করলেন!’’

Advertisement

পায়েলের হাত ধরে ৩০ বছর পর কোনও ভারতীয় ছবি কান উৎসবে প্রথম সারির মনোনয়ন পেল। কানের সর্বোচ্চ সম্মান পাম ডি’ওর অল্পের জন্য অধরা। বদলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান গ্রাঁ প্রি পুরস্কার জিতে নিল পায়েলের ছবি। এ কি কম গর্বের? পাশাপাশি, অনসূয়ার হাত ধরে এই প্রথম কানে কোনও ভারতীয় অভিনেত্রী এই বিভাগে পুরস্কৃত হলেন। নামঘোষণার পরে আনন্দে কেঁদে ফেলেছেন অভিনেত্রী। পরে সাংবাদিকদের পায়েল বলেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় মনোনীত হওয়াই আমার কাছে স্বপ্নসম। কল্পনারও অতীত! সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’’ পরমব্রত এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে। সেখান থেকেই তিনি বলছেন, ‘‘আমরা শ্রদ্ধা মেশানো বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছি, দুই স্বাধীন শিল্পী কী ধৈর্য নিয়ে নীরবে কাজ করে বিনোদন দুনিয়ার শিখর ছুঁয়ে ফেললেন! যাত্রাপথে কোথাও প্রচারের আলো ছিল না। অনেক যত্নে নিয়ে নিজেদের মতো কাজ করে চুপচাপ পৌঁছে গেলেন কান উৎসবের মঞ্চে। ভারতীয় সিনেমাকে সর্বাধিক সম্মান এনে দিলেন! এই আনন্দ নিজের মধ্যে চেপে রাখাই দায়।’

পরমব্রতের এই কথা এই মুহূর্তে সমস্ত ভারতীয় তারকাদের মনের কথা। তাঁর মতো অনেকেই সামাজিক পাতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। রবিবার অভিনেতা ঋদ্ধি সেনও অনসূয়াকে সামাজিক পাতায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তথাকথিত ‘গ্ল্যামারাস’ না হয়েও তাঁকে ঘিরে জৌলুসের বলয়। যা প্রমাণ করেছে, শুধু রূপ নয়, গুণটাও দরকার হয়। শুভেচ্ছা জানানোর সঙ্গে ঋদ্ধি তাই এই দিকটিও তাঁর পোস্টে তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এখনও কি শিল্প এবং পরিশ্রমের পরিবর্তে সমাজমাধ্যমে অনুসরণকারীর সংখ্যা দেখে অভিনেতাদের বেছে নেওয়া হবে? এখনও কি আমরা বহু ব্যবহৃত ‘তারকা’দেরই দক্ষতার বিচার না করে বেশি করে সুযোগ দেব?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement