(বাঁ দিকে) অনসূয়া সেনগুপ্ত। ঋদ্ধি সেন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আন সার্টেন রিগার্ডস’ বিভাগে ভারতীয় হিসেবে প্রথম সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন কলকাতার কন্যা অনসূয়া সেনগুপ্ত। ইন্ডাস্ট্রিতে ‘গ্ল্যামারাস’ বলতে যে যে ধারণাগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেই ব্যাকরণের সঙ্গে অনসূয়ার চেহারা মেলে না। কিন্তু ‘লুক’ দিয়ে যে শিল্প তৈরি হয় না, সে কথা যেন আরও এক বার প্রমাণ করল অনসূয়ার জয়। উদাহরণ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন ঋদ্ধি সেন।
অনসূয়ার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ঋদ্ধি। তিনি লেখেন, ‘‘অনসূয়া সেনগুপ্তের জন্য আমরা প্রত্যেকেই গর্বিত। কিন্তু একই সঙ্গে বিষয়টা আরও একটা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।’’ এরই সঙ্গে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা লেখেন, ‘‘এখনও কি শিল্প এবং পরিশ্রমের পরিবর্তে সমাজমাধ্যমে ফলোয়ারের সংখ্যা দেখেই কাস্ট করা হবে? এখনও কি আমরা বহুব্যবহৃত ‘তারকা’দেরই দক্ষতা না থাকলেও সুযোগ দেব।’’
এরই সঙ্গে ঋদ্ধি জানান যে, তারকাদের এই সুযোগ পাওয়ার নেপথ্যে বিভিন্ন সংস্থা এবং চমক কাজ করে। ঋদ্ধির কথায়, তারকাদের সমর্থনে এখনও বলতে হয়, ‘‘আহা, এই বয়সেও চেহারাটা কী রকম ধরে রেখেছে দেখো?’’ ঋদ্ধি আরও লেখেন, ‘‘এখন প্রশ্ন হল, আমরা নিরাপদে খেলার প্রবণতা থেকে কবে বেরিয়ে আসব আর ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করব?’’ সমাজমাধ্যমে ঋদ্ধি যে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁকে অনেকেই সমর্থন করেছেন।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের নতুন হিন্দি ছবিতে অভিনয় করবেন ঋদ্ধি। তবে নতুন এই ছবি নিয়ে এখনই বিশেষ একটা মন্তব্য করতে নারাজ অভিনেতা।