ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস, ওরি ঝুঁকলেন কোন দিকে? গ্রাফিক : আনন্দবাজার অনলাইন।
আগামী চার বছরের জন্য কে হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, মঙ্গলবারই তা নির্ধারণ করবেন আমেরিকার মানুষ। পদপ্রার্থী দু’জন রিপাবলিকান শিবিরের ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস। সুদূর আমেরিকায় নির্বাচন, তবু তার আঁচ এসে পড়েছে ভারতেও। সে দেশের তারকা মহলের একটা বড় অংশ কমলার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। যদিও তাঁদের অধিকাংশই মহিলা। সেই তালিকায় রয়েছেন লেডি গাগা, বিলি এলিশের মতো গায়িকারা। কিন্তু কমলায় যেন তীব্র আপত্তি বলিপাড়ার ওরির।
সম্প্রতি আমেরিকার বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির টিমের তরফে করা একটি পোস্টে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওরি। তিনি ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্কের একটি ফ্যাশন স্কুলে। এছাড়াও সময়ে-অসময়ে ছুটি কাটাতে ছোটেন মার্কিন মুলুকে।
মাত্র দু’বছরে বলিপাড়ার তারকাদের মতো সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। জাহ্নবী কপূর, সুহানা খান থেকে সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে, এমনকি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কইফের মতো তারকাদের আশেপাশেও দেখা যায় বলিপাড়ার এই উঠতি ‘তারকা’কে। যদিও তিনি ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধুই ছবি তোলেন। তাঁর সঙ্গে ছবি নেই, এ দেশে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লক্ষ আবার কখনও কখনও ৫০ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলে। তাঁর জীবনযাত্রাও বেশ বিলাসবহুল।
এ হেন ওরি সম্প্রতি কমলা এইচকিউ নামক ইনস্টাগ্রাম পেজের তরফে একটি পোস্টে বমির ইমোজি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতিকে রেনবো ফ্ল্যাগ জ্যাকেট পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁর এই মন্তব্য দেখে মনে হয় ওরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক। ওরি সেই প্রসঙ্গে জবাব দেন, ‘‘হয় আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক হবেন, না হলে আপনি আমেরিকাকে ভালবাসেন না।’’
ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলার প্রচারে প্রথম থেকেই গুরুত্ব পেয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং শিক্ষার উন্নতি। জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া, বেকারত্ব কমাতে এবং বিভিন্ন পরিকাঠামোয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জো বাইডেন সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, নিজের প্রচারে বার বার তা তুলে ধরেছেন কমলা। অন্য দিকে, গর্ভপাতের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলা ভোটার ও তরুণ প্রজন্মকে পাশে পেতে চেয়েছেন হ্যারিস। ডেমোক্র্যাট এই নেত্রী জানিয়েছেন, ক্ষমতায় ফিরলে প্রথম দিনেই তাঁর কাজ হবে জীবনযাপনের খরচ কমিয়ে আনা। অন্য দিকে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রভাব তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। চিনের বদলে ভারত থেকে আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান।