সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য এবং নুসরত জাহান।
লোকসভায় দাঁড়িয়ে নিজের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য তৃণমূলের সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিলেন বিজপি-র সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য।
সঙ্ঘমিত্রা স্পিকারকে লেখা তাঁর চিঠিতে লোকসভার নিয়ম অনুযায়ী নুসরতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। সাংসদ-অভিনেত্রী যে ধরনের ‘অনৈতিক’ আচরণ করেছেন, সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
সঙ্ঘমিত্রার কথায়, ‘‘লোকসভায় ভুল তথ্য দিয়ে ইচ্ছাকৃত বেআইনি এবং অনৈতিক কাজ করেছেন। যাঁরা ভোট দেন, মিথ্যে তথ্য দিয়ে তাঁদেরকেও বিভ্রান্ত করেছেন নুসরত। এ ভাবে লোকসভাকেও কলঙ্কিত করেছেন তিনি।’’
নিজের দাবিকে আরও পোক্ত করতে, টেনে এনেছেন ২০১৯ সালের কথা। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নিখিলকে বিয়ে করায় মৌলবাদীদের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছিল বসিরহাটের সাংসদকে। নুসরতের বৌভাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন সঙ্ঘমিত্রা।
তবে সঙ্ঘমিত্রা প্রথম নন। দিন কয়েক আগে সাংসদ-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় আইটি শাখার প্রধান অমিত মালব্য। ২০১৯ সালে লোকসভায় বসিরহাটের সাংসদ হিসেবে নুসরতের শপথ গ্রহণের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে নুসরত নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন।’’ নুসরতের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে তিনি লিখেছিলেন, ‘তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কার সঙ্গে লিভ-ইন করছেন সেটা নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী তিনি নিখিল জৈনকে বিবাহ করেছেন। তবে কি তিনি সংসদে অসত্য ভাষণ দিয়েছিলেন?’
গত ৯ জুন, একটি বিবৃতি জারি করে নুসরত জানিয়েছিলেন, নিখিল জৈনের সঙ্গে আইনত বিয়ে হয়নি তাঁর। ‘লিভ ইন’ সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। সুতরাং বিবাহবিচ্ছেদেরও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। নুসরত নিখিলের সঙ্গে সহবাসের দাবি করলেও সরকারি নথিতে তাঁর স্বামীর নাম নিখিল জৈন এবং তিনি বিবাহিতা। লোকসভার ওয়েবসাইটেও বসিরহাটের সাংসদ অভিনেত্রীর নামে পাওয়া গিয়েছে একই তথ্য।