বাধা পেরিয়ে এগোচ্ছেন নুসরত ভারুচা।
ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছিলই না। একের পর এক অসুস্থতা আর চোট। তবু মনের জোর হারাননি নুসরত ভারুচা। সব বাধা পেরিয়েই শ্যুটিং করে গিয়েছেন টানা এক বছর। এক চ্যাট শো-তে সেই হারতে না চাওয়া দিনগুলোর গল্প শোনালেন অভিনেত্রী।
মুম্বই সংবাদমাধ্যমের খবর, শিল্পা শেট্টি সঞ্চালিত এক চ্যাট শো-তে এসে ফেলে আসা দিনগুলো ফিরে দেখেন ‘জনহিত মেঁ জারি’-র নায়িকা। নুসরত বলেন, ‘‘প্রথমে ভার্টিগোর আক্রমণ, তার পর পিঠের চোট, তার পরে গোড়ালিতে টান ধরা এবং শেষমেশ পায়ের আঙুল ভাঙা— একের পর এক বিপদ চলছিল আমার। এ দিকে, পর পর কাজও ছিল। এত রকম সমস্যা নিয়ে কী ভাবে কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তবে শেষমেশ মনের জোরেই সবক’টা শ্যুটিং চালিয়ে গিয়েছি।’’
নুসরত জানান, নিজের জন্মদিনের পার্টিতে টেবিলে চড়ে নাচতে গিয়ে বেকায়দায় তাঁর পায়ের আঙুল ভেঙে যায়। সেই অবস্থাতেই অবশ্য শ্যুটিং জারি রেখেছিলেন তিনি। তা না হলে কাজের ক্ষতি হত। কিন্তু কী ভাবে তা করলেন ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’র অভিনেত্রী?
নুসরত বলেন, ‘‘আগেই সেটে গিয়ে বসে থাকতাম। শটের সময়ে এডি-রা ধরে ধরে আমায় ফ্লোরে নিয়ে যেত। সেখানে সংলাপ বলেই ফ্রেম থেকে সরে থাকতাম। আবার এডি-রাই ধরে ধরে ফিরিয়ে আনত নিজের জায়গায়। ওই কাজগুলো করব, আগে কথা দিয়েছি। শেষ না করে বা কাজ থামিয়ে বিশ্রামে গেলে চলে নাকি?’’
এ ছাড়া ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’র শ্যুটিংয়ের আগেও চোটে বিপর্যস্ত ছিলেন নুসরত। অভিনেত্রী জানান, ফ্লোরে তখন নুন-গরম জল রাখা থাকত শটের ফাঁকে পা ডুবিয়ে নেওয়ার জন্য। জোর করে উঁচু হিল পরে টানা শ্যুটিং করে পা ফুলে গিয়েছিল সে সময়ে। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘জনহিত মেঁ জারি’। নুসরতকে এর পরে দেখা যাবে ‘রামসেতু’ ছবিতে।