বলিউডের একাধিক কুঅভ্যাস নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উঠে এল নতুন অভিনেতাদের সঙ্গে টিনসেলনগরীর দুর্ব্যবহারের কথা। নবীন অভিনেতা হিসেবে চূড়ান্ত হেনস্থা হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এর অভিনেতা।
অতীতের অপমান ভাগ করে নিলেন নওয়াজ।
টানটান, বাস্তবধর্মী অভিনয়ে মুগ্ধ করার ক্ষমতা ছিলই। ইদানীং চোখ টানে তাঁর স্পষ্ট কথা বলার অভ্যাস। বলিউডের একাধিক কুঅভ্যাস নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যেমন উঠে এল নতুন অভিনেতাদের সঙ্গে টিনসেলনগরীর দুর্ব্যবহারের কথা। নবীন অভিনেতা হিসেবে নিজেরই চূড়ান্ত হেনস্থা হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এর অভিনেতা।
নওয়াজ তখন বলিউডে একেবারেই নতুনদের দলে। প্রযোজক-পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন কাজের আশায়। কোথাও শুনতে হচ্ছে, তাঁর চেহারা একেবারেই অভিনেতাসুলভ নয়। সময় নষ্ট করা বৃথা। কোথাও জুটছে গায়ের রং নিয়ে ব্যঙ্গ। এমনই পরিস্থিতির মধ্যে জীবনের সবচেয়ে কঠিন অপমানটাও সহ্য করতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
কী শুনতে হয়েছিল ‘সেক্রেড গেমস’-এর তারকাকে?
সাক্ষাৎকারে নওয়াজ জানান, সে সময়ে ছোট পর্দায় কাজ খুঁজছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই একটি টিভি শো-র নির্মাতাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। নির্মাতারা তাঁকে মুখের উপর বলেন, ‘‘তোমায় নিলে তো খরচ বেড়ে যাবে আমাদের। কারণ পর্দায় তোমাদের দেখাতে হলে বাড়তি আলো লাগাতে হবে সেটে!’’
গায়ের রং নিয়ে এমন চূড়ান্ত অপমান মুখ বুজে সহ্য করে সে দিন ফিরতে হয়েছিল নওয়াজকে। তবু কাজ খোঁজা থামেনি। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, সর্বত্রই চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন অভিনেতা। পরের বেশ কয়েকটা বছরে কখনও আধ মিনিটের জন্য ছবিতে, কখনও বা এক-দুটো দৃশ্যে মুখ দেখানো— লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। জেদ ছাড়েননি লাগাতার হেনস্থাতেও।
তার পর ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে এক দিন। এক দশকের লড়াই শেষে একের পর এক ছবি-সিরিজে বলিষ্ঠ অভিনয়ে বলিউডে নিজের পাকাপাকি জায়গা তৈরি করেই ছেড়েছেন নওয়াজ। এক সময়ের ‘বাতিল’ অভিনেতা এখন ছবি, সিরিজ বাছাই করেন নিজের ইচ্ছেয়। কয়েকশো চিত্রনাট্যের ভিড়ে কাজ করেন হয়তো হাতে গোনা কয়েকটিতে। আপাতত ‘হিরোপন্তি ২’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।